Showing posts with label world news. Show all posts
Showing posts with label world news. Show all posts

Thursday, April 9, 2020

২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত বেড়ে দ্বিগুণ


দেশে গত কয়েকদিন ধরে দ্বিগুণ হারে বাড়ছে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। সর্বশেষ গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত করা হয়েছে ১১২ জন। অথচ এই সংখ্যাটা আগের দিন ছিল ৫৪ জন। অর্থাৎ দ্বিগুণ থেকেও বেশি।

যদি গত এক সপ্তাহের কথা বিবেচনা করা হয়, তাহলে সংখ্যাটা দাঁড়ায় ঠিক এমন ৯, ১৮, ৩৫, ৪১, ৫৪, ১১২। দেখা যাচ্ছে, প্রতিদিনই করোনা রোগী শনাক্তের সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হারে বাড়ছে। যা এটা প্রমাণ করে যে করোনাভাইরাস সংক্রমণের সর্বোচ্চ স্তরে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশ।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে করোনাভাইরাস সংক্রমণের স্তর চারটি। এর মধ্যে সর্বশেষ ও চতুর্থ স্তর হলো- সামাজিকভাবে তা ছড়িয়ে পড়া। অর্থাৎ দেশে এই মুহূর্তে সামাজিকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। বিদেশ ফেরতদের থেকেও বেশি সংক্রমিত হচ্ছেন সাধারণ জনগণ। ইতোমধ্যে তা ২১টি জেলা ও বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে গেছে। সংখ্যাটা ক্রমশ বাড়ছে।

চীন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, স্পেন, ফ্রান্সসহ বিশ্বের যেসব দেশে ইতোমধ্যে বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে সে দেশের সংক্রমণের ধারা পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার এক মাসের মধ্যে ভাইরাসটি ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ে। বাংলাদেশেও এক মাস হয়ে গেছে। অর্থাৎ গভীর সংকটের মুখোমুখি দেশ।

এদিকে, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় যে ১১২ রোগী শনাক্ত করা হয়েছে, তার মধ্যে ৬২ জনই ঢাকার বাসিন্দা। এ ছাড়া ১৩ জন নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দা। বাকিরা দেশের অন্যান্য স্থানের। সবমিলিয়ে শুধু ঢাকায় এখন পর্যন্ত ১৯১ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া নারায়ণগঞ্জে ৫৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে আরো একজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত ব্যক্তি এক জন পুরুষ ও তার বয়স ৬০ বছর। এ নিয়ে দেশে মোট মৃত্যুবরণ করেছেন ২১ জন। আর এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৩৩ জন।

নারায়ণগঞ্জকে ‘হটস্পট’ হিসেবে চিহ্নিত


নারায়ণগঞ্জকে করোনাভাইরাস সংক্রমণের হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক ড. মীরাজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা। আজ বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত করোনা বিষয়ক বিশেষ বুলেটিনে তিনি এ কথা জানান।

ড. মীরাজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ঢাকায়। এরপরেই অবস্থান করছে নারায়ণগঞ্জ। তাই জেলাটিকে ইতোমধ্যে করোনা সংক্রমণের একটি হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জের বিষয়ে বিশেষ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন জেলায় যেসব রোগী শনাক্ত হচ্ছে, তাদের অধিকাংশই পূর্বে সংক্রমিত হয়েছে এমন এলাকা থেকে আসছে। এই সংক্রমণকে ক্লাস্টার (এক জায়গায় একসঙ্গে কয়েকজন আক্রান্ত) বলা হয়। অর্থাৎ সেই এলাকা থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে কোভিড-১৯ সংক্রমণ ছড়াচ্ছে।

সম্প্রতি দেশে যত সংক্রমণ হচ্ছে সেগুলোর দিকে তাকালে দেখা যায়, অধিকাংশই নারায়ণগঞ্জ থেকে অন্য এলাকায় গেছেন। পাশাপাশি তাদের থেকে অন্যরাও সংক্রমিত হচ্ছেন। তাই নারায়ণগঞ্জকে আলাদা করা হয়েছে।

সবাইকে ঘরে থাকতে অনুরোধ জানিয়ে আইইডিসিআর পরিচালক বলেন, এই মুহূর্তে সবার ঘরে থাকা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ভাইরাসটি এখন ক্লাস্টারের মাধ্যমে ছড়াচ্ছে।

পুরো দেশের মধ্যে করোনা সংক্রমণের ভয়াবহ ঝুঁকির তালিকায় রয়েছে নারায়ণগঞ্জ। সেখানে ইতোমধ্যে ৫৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। মৃত্যুবরণ করেছেন বেশ কয়েকজন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছেন ১৩ জন।

মসজিদের খাদেম করোনা আক্রান্ত, এলাকা লকডাউন



রাজধানীর রায়েরবাজারের শহীদ বুদ্ধিজীবী জামে মসজিদের এক খাদেম প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করার পর ওই মসজিদের আশপাশের এলাকা অবরুদ্ধ করা হয়েছে।
এ তথ্য নিশ্চিত করে ঢাকা মহানগর পুলিশের মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী কমিশনার রৌশনুল হক সৈকত গণমাধ্যমকে জানান, ওই খাদেম বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। নমুনা পরীক্ষার পর তার শরীরে করোনাভাইরাসে অস্তিত্ব পাওয়া যায়। আইইডিসিআর থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করার পর ওই মসজিদ সংলগ্ন এলাকা লকডাউন করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, ইতোমধ্যে ওই মসজিদের ইমামসহ সকলকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। জনস্বার্থে এলাকায় মাইকিং করা হয়েছে। কেউ যেন জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের না হয়, সে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শেখ মোহাম্মদ হোসেন খোকন জানান, ওই মসজিদের ভেতর দুই জন খাদেম থাকতেন। তাদেরই একজন করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন। পুলিশ ইতোমধ্যে ওই এলাকা লকডাউন করেছে।

বাংলাদেশে চিকিৎসক পাঠাচ্ছে চীন, প্রধানমন্ত্রীর ধন্যবাদ


করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সম্প্রতি বাংলাদেশকে কিট, মাস্ক, পিপিই, থার্মোমিটারসহ বিপুল পরিমাণ মেডিকেল সামগ্রী পাঠিয়েছে চীন সরকার। এবার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ১৫ জন চিকিৎসককে বাংলাদেশে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি।

আজ বৃহস্পতিবার এক ভিডিও বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং।

এদিকে, করোনা মোকাবেলায় বাংলাদেশকে সহায়তা দেওয়ায় চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে ধন্যবাদ জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে জ্যাক মা ফাউন্ডেশন ও আলিবাবার কাছেও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তিনি।

চিঠিতে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় চীনের সাফল্যের অভিজ্ঞতা বাংলাদেশ ও বিশ্বের সামনে উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। সেই ধারাবাহিকতায় বিশ্বে করোনা প্রতিরোধে চীনা প্রেসিডেন্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন বলে প্রত্যাশা করেন তিনি।

এর আগে গত ২৬ মার্চ করোনা পরীক্ষার জন্য ১০ হাজার টেস্ট কিট, ১০ হাজার মেডিকেল প্রটেক্টিভ ক্লথিং, এক হাজার ইনফারেট থার্মোমিটার ও অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ৫০০টি কিট বাংলাদেশকে উপহার দেয় চীন সরকার।

পরদিন ২৭ মার্চ বাংলাদেশকে ৩০ হাজার কিট উপহার দিয়েছেন চীনের বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান আলিবাবার প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক মা। পরবর্তীতে আরো তিন লাখ মাস্ক পাঠায় জ্যাক মা ফাউন্ডেশন।

ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী: যেকোনো চিকিৎসা দিতে প্রস্তুত বেসরকারি হাসপাতাল


দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বলেছেন, দেশের বেসরকারি হাসপাতালগুলো প্রস্তুত। করোনাভাইরাসের কারণে যেকোনো পরিস্থিতিতে যেকোনো বিষয়ে চিকিৎসাসেবা দেওয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে আছে তারা। আজ বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে জরুরি বৈঠক শেষে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

ডা. এনামুর রহমান বলেন, আমি একটি ঘোষণা দিতে চাই, আপনারা স্বাস্থ্য ও রোগ সংক্রান্ত বিষয়ে কোনো বিভ্রান্তিতে থাকবেন না। বাংলাদেশের ৬৯টি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল আমাদের প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশনের অধীনে আছে। সেগুলো ২৪ ঘণ্টা খোলা এবং রোগীদের সব ধরনের রোগের চিকিৎসা দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, আপনার কোনো সমস্যা হলে বা যদি মনে করেন শরীরে কোনো রোগ বাগড়া দিয়েছে তাহলে নিকটবর্তী হাসপাতালে চলে যাবেন। আপনাদের সবার চিকিৎসা নিশ্চিত করা হবে।

তিনি আরো বলেন, ভাইরাসের আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা নিশ্চিতকরণে দেশের ৬৯টি প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সরকারের সঙ্গে থেকে জনগণকে সেবা দেওয়ার জন্য বদ্ধপরিকর।

গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে আরো ১১২ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। এ নিয়ে মোট শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৩৩০ জনে। এ ছাড়া একই সময়ে আরো এক জনের মৃত্যু হয়েছে। ফলে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ালো ২১ জনে।

আজ বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে প্রচারিত বিশেষ স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ কথা জানানো হয়। এতে যুক্ত হয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ১১২ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত করা হয়েছে। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত হলেন ৩৩০। এ ছাড়া নতুন এক জনের মৃত্যু নিয়ে মোট ২১ জন মারা গেলেন।