Showing posts with label বাংলাদেশের পরিচিতি. Show all posts
Showing posts with label বাংলাদেশের পরিচিতি. Show all posts

Friday, October 12, 2018

বাংলাদেশে বসবাসকারী অন্যান্য ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী

ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী


প্রশ্ন: মারমাদের সমাজ কাঠামো ও শাসন ব্যবস্থার কেন্দ্রস্থলে বোমাং সার্কেলের প্রধান কে?
উত্তর: বোমাং রাজা বা বোমাং চিফ।

প্রশ্ন: মং সার্কেলের প্রধান কে?
উত্তর: মং রাজা বা মং চিফ।

প্রশ্ন: মারমাদের লিপিতে বর্ণ সংখ্যা কত?
উত্তর: ৪৫টি (এর মধ্যে ব্যঞ্জনবর্ণ ৩৩টি ও স্বরবর্ণ ১২টি)।

প্রশ্ন: মারমাদের প্রধান পেশা কি?
উত্তর: জুম চাষ।

প্রশ্ন: রাখাইন কোন্ জনগোষ্ঠীর লোক?
উত্তর: মঙ্গোলীয়।

প্রশ্ন: রাখাইনদের আদিনিবাস কোথায় ছিল?
উত্তর: আরাকান (মিয়ানমার)।

প্রশ্ন: বাংলাদেশি অনেকে রাখাইনদেরকে কি বলে অভিহিত করে?
উত্তর: মগ।

প্রশ্ন: জলকেলি কাদের উৎসব?
উত্তর: রাখাইন।

প্রশ্ন: রাখাইনদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব কী?
উত্তর: বুদ্ধপূর্ণিমা।

প্রশ্ন: রাখাইন বা মগদের ধর্মীয় ভাষা কোনটি?
উত্তর: পালি।

প্রশ্ন: নৃবিজ্ঞানীদের মতে, গারোরা কোন্ শ্রেণিভূক্ত?
উত্তর: মঙ্গোলীয়।

প্রশ্ন: গারোদের ঐতিহ্যবাহী চাষ পদ্ধতি কি?
উত্তর: জুম চাষ।

প্রশ্ন: গারোদের ভাষার স্থানীয় নাম কী?
উত্তর: মান্দি ভাষা বা গারো ভাষা।

প্রশ্ন: পাঙন বা পাঙালরা কোন্ ধর্মাবলম্বী?
উত্তর: ইসলাম।

প্রশ্ন: পাঙন সমাজ কোন্ তান্ত্রিক?
উত্তর: পিতৃতান্ত্রিক।

প্রশ্ন: পাঙনরা কোন্ ভাষায় কথা বলে?
উত্তর: মৈ তৈ মণিপুরীদের ভাষায়।

প্রশ্ন: হাজংদের প্রধান খাদ্য কি?
উত্তর: ভাত।

প্রশ্ন: হাজংরা কোন্ ধর্মে বিশ্বাসী?
উত্তর: হিন্দু।

প্রশ্ন: কোন্ উপজাতির মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ, বহু বিবাহ ও বিধবা বিবাহের প্রচলন রয়েছে?
উত্তর: হাজং।

প্রশ্ন: খিয়াং অর্খ কি?
উত্তর: ইচ্ছা।

প্রশ্ন: খিয়াংরা নিজেদের কি বলে?
উত্তর: হ্যউ (Hiou)।

প্রশ্ন: খিয়াংরা কোথা থেকে এসেছে?
উত্তর: আরাকান-ইয়োমা উপত্যকা হতে এসেছে।

প্রশ্ন: খিয়াংদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব কি?
উত্তর: সাংলান। 

Thursday, October 11, 2018

বাংলাদেশে বসবাসকারী প্রধান প্রধান ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী

ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী


চাকমা
প্রশ্ন: বাংলাদেশের বৃহত্তম নৃ-গোষ্ঠী কোনটি?
উত্তর: চাকমা (দ্বিতীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ সাঁওতাল)।

প্রশ্ন: চাকমা ভাষায় লিখিত প্রথম উপন্যাসের নাম কি?
উত্তর: ফেবো (প্রকাশিত হয় ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০০৪)।

প্রশ্ন: চাকমা সমাজের প্রধান কে?
উত্তর: চাকমা রাজা।

প্রশ্ন: ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি’ সংগঠনটি গঠন করেন কে?
উত্তর: কামিনী মোহন দেওয়ান (১৯১৭) [সূত্র: আদিবাসী জনগোষ্ঠী, এশিয়াটিক সোসাইটি; পৃষ্ঠা-৫৯]।

প্রশ্ন: ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি’ পুনঃগঠন করেন কে?
উত্তর: মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা (২৪ জুন ১৯৭২)।

প্রশ্ন: পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলা গঠন করা হয় কবে?
উত্তর: ১৮৬০ সালে।

প্রশ্ন: চাকমারা গ্রামকে কি বলে?
উত্তর: আদাম।

প্রশ্ন: চাকমারা গ্রামের প্রধানকে কি বলে?
উত্তর: কার্বারী।


ত্রিপুরা
প্রশ্ন: ত্রিপুরা জাতি কোন্ বংশোদ্ভুত?
উত্তর: মঙ্গোলীয়।

প্রশ্ন: ত্রিপুরারা কোন ভাষায় কথা বলে?
উত্তর: কক-বরক্।

প্রশ্ন: ত্রিপুরাদের জাতিসত্ত্বা কতটি দফা বা গোত্রে বিভক্ত?
উত্তর: ৩৬টি।

প্রশ্ন: ত্রিপুরাদের প্রধান উৎসবের নাম কি?
উত্তর: বৈসুক। অন্যান্য উৎসব হলো – কের, গোমতী পূজা, খাচীপূজা, হাবা, রাজপূন্যাহ, কাথারক, চুমলাই।

প্রশ্ন: ত্রিপুরা রমণীদের জাতীয় পোশাক কি?
উত্তর: রিনাই ও রিসা।

সাঁওতাল
প্রশ্ন: সাঁওতালরা মূলত কতটি গোত্র বা টোটেমে বিভক্ত?
উত্তর: ১২টি।

প্রশ্ন: সাঁওতালরা তাদের বসবাসের নির্দিষ্ট এলাকাকে কি বলে অভিহিত করে?
উত্তর: দেশ (প্রধানকে বলে দেশপ্রধান)।

প্রশ্ন: সাঁওতালদের বিচারব্যবস্থার সর্বোচ্চ আদালত এর নাম কি?
উত্তর: ল’বীর বা জঙ্গল মহাসভা।

প্রশ্ন: চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে কৃষক বিদ্রোহ কবে সংগঠিত হয়?
উত্তর: ১৯৫০ সালে।

প্রশ্ন: সাঁওতালদের প্রধান খাদ্য কি?
উত্তর: ভাত।

প্রশ্ন: সাঁওতালদের সমাজে কোন্ বিবাহের প্রচলন রয়েছে?
উত্তর: বিধবা বিবাহ।

প্রশ্ন: সাঁওতালী ভাষায় বিধবাকে কি বলা হয়?
উত্তর: রান্ডি।

প্রশ্ন: সাঁওতালদের প্রধান উৎসব কি?
উত্তর: সোহরাই উৎসব।

প্রশ্ন: সাঁওতালদের ভাষার নাম কি?
উত্তর: সাঁওতালী (এর কোনো লিখিত বর্ণমালা নেই)।

মণিপুরী
প্রশ্ন: মণিপুরী ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী কবে প্রথম বাংলাদেশে আসে?
উত্তর: ১৭৬৫ সালে।

প্রশ্ন: মণিপুরীদের মধ্যে কতটি শ্রেণী রয়েছে?
উত্তর: ২টি। বিষ্ণুপ্রিয়া ও মৈ তৈ।

প্রশ্ন: বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরীরা কোন ভাষাভাষ?
উত্তর: ইন্দো-এরিয়ান।

প্রশ্ন: মৈ তৈ মণিপুরী কোন্ জনগোষ্ঠীর লোক?
উত্তর: মঙ্গোলীয়।

প্রশ্ন: মণিপুরীদের মধ্যে কতটি ভাষা প্রচলিত রয়েছে?
উত্তর: ২টি। বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরী ভাষা ও মৈ তৈ মণিপুরী ভাষা।

প্রশ্ন: মণিপুরীদের প্রধান উৎসব কী?
উত্তর: রাসোৎসব (মহা রাসলীলা)।

প্রশ্ন: বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কবে, কোথায় পরিভ্রমণ করতে এসে মণিপুরীদের রাসনৃত্য উপভোগ করেন?
উত্তর: ১৯১৯ সালে; শ্রীহট্টে (বর্তমান সিলেট)।

প্রশ্ন: কবে, কোথায় ‘ভানুবিল বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরী কৃষক প্রজা আন্দোলন’ সংগঠিত হয়?
উত্তর: ১৯৪০ সালে, কমলগঞ্জ, সিলেট।

Wednesday, October 10, 2018

বাংলাদেশের উপজাতি বা ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী

Tribal

প্রশ্ন: বাংলাদেশের মোট ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জনসংখ্যা কত?
উত্তর: ১৫,৮৬,১৪১ [পঞ্চম আদমশুমারি ২০১১]।

প্রশ্ন: বাংলাদেশে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর পুরুষ ও নারী জনসংখ্যা কত?
উত্তর: পুরুষ ৭,৯৭,৪৭৭ (৫০.২৮%) ও নারী ৭,৮৮,৬৬৪ (৪৯.৭২%)।

প্রশ্ন: বাংলাদেশের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী মোট জনসংখ্যার কত ভাগ?
উত্তর: ১.১০% [পঞ্চম আদমশুমারি ২০১১]।

প্রশ্ন: বাংলাদেশে বসবাসকারী ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সংখ্যা কত?
উত্তর: ৪৫টি।

প্রশ্ন: বাংলাদেশের কোন্ দুটি উপজাতি বা নৃ-গোষ্ঠীর পারিবারিক কাঠামো মাতৃতান্ত্রিক?
উত্তর: খাসি/খাসিয়া ও গারো।

প্রশ্ন: কোন উপজাতি বা ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ইসলাম ধর্মাবলম্বী?
উত্তর: পাঙন।

প্রশ্ন: মগ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী পাহাড়ি এলাকায় কি নামে পরিচিত?
উত্তর: মারমা।

প্রশ্ন: ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী মগ সমতল এলাকায় কি নামে পরিচিত?
উত্তর: রাখাইন।

প্রশ্ন: ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী মগ কোন্ বংশোদ্ভূত?
উত্তর: মঙ্গোলীয়।

প্রশ্ন: মগদের আদিনিবাস কোথায় ছিল?
উত্তর: আরাকান (মিয়ানমার)।

প্রশ্ন: খাসিয়া গ্রামগুলো কি নামে পরিচিত?
উত্তর: পুঞ্জি।

প্রশ্ন: পার্বত্য চট্টগ্রামে কতটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর বসতি রয়েছে?
উত্তর: ১১টি। এরা হলো – মারমা, চাকমা, মুরং, ত্রিপুরা, লুসাই, খুমি, বম, খিয়াং, চাক, পাংখোয়া ও তঞ্চঙ্গ্যা। এ ১১টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর বসবাস রয়েছে একমাত্র বান্দরবান জেলাতে।

প্রশ্ন: পার্বত্য চট্টগ্রামের সার্কেল কতটি?
উত্তর: ৩টি – চাকমা সার্কেল, বোমাং সার্কেল ও মং সার্কেল।

প্রশ্ন: চাকমা সার্কেলের প্রধান কে?
উত্তর: চাকমা রাজা।

প্রশ্ন: বোমাং সার্কেলের প্রধান কে?
উত্তর: বোমাং রাজা।

প্রশ্ন: মং সার্কেলের প্রধান কে?
উত্তর: মং রাজা।

Tuesday, October 9, 2018

বাংলাদেশের জনসংখ্যা

Population


প্রশ্ন: ম্যালথাসের মতে জনসংখ্যা বাড়ে কোন্ হারে?
উত্তর: জ্যামিতিক হারে (১, ২, ৪, ৮, ১৬, ...... )।

প্রশ্ন: ম্যালথাসের মতে খাদ্যের উৎপাদন বাড়ে কোন্ হারে?
উত্তর: গাণিতিক হারে (১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ...... )।

প্রশ্ন: বাংলাদেশের সবচেয়ে উঁচু জনবসতি কোথায়?
উত্তর: পাসিংপাড়া (উচ্চতা ৩,০৬৪ ফুট)। এটি কেওক্রাডং পর্বতে মুরং আদিবাসী অধ্যুষিত জনবসতি।

প্রশ্ন: বাংলাদেশের বর্তমান জনসংখ্যা কত?
উত্তর: ১৫ কোটি ৮৯ লাখ [ অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০১৭]; ১৪ কোটি ৪৭ লাখ ৭২ হাজার ৩৬৪ জন [পঞ্চম আদমশুমারি ২০১১] ও ১৬ কোটি ৪৭ লাখ [UNEPA 2017]।

প্রশ্ন: জনসংখ্যায় বাংলাদেশ বিশ্বের কততম দেশ?
উত্তর: অষ্টম (এশিয়ায় পঞ্চম ও সার্কভূক্ত দেশের মধ্যে তৃতীয়) [UNEPA 2017]।

প্রশ্ন: বাংলাদেশের নারী-পুরুষের অনুপাত কত?
উত্তর: ১০০:১০০.৩ [অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০১৭ ও আদমশুমারি ২০১১]।

প্রশ্ন: বাংলাদেশে বর্তমানে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কত?
উত্তর: ১.৩৭% [অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০১৭ ও পঞ্চম আদমশুমারি ২০১১]।

প্রশ্ন: প্রতি বর্গকিমি-এ বাংলাদেশের জনসংখ্যার ঘনত্ব কত?
উত্তর: ১,০৭৭ জন [অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০১৭] ও ১,০১৫ জন [পঞ্চম আদমশুমারি ২০১১]।

প্রশ্ন: প্রতি হাজারে স্থুল জন্মহার কত?
উত্তর: ১৮.৮ জন [অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০১৭]।

প্রশ্ন: প্রতি হাজারে স্থুল মৃত্যুহার কত?
উত্তর: ৫.১ জন [অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০১৭]।

প্রশ্ন: বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু কত?
উত্তর: ৭০.৯ বছর [অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০১৭]।

প্রশ্ন: বাংলাদেশের পুরুষের গড় আয়ুষ্কাল কত?
উত্তর: ৬৯.৪ বছর [অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০১৭]।

প্রশ্ন: বাংলাদেশের নারীদের গড় আয়ুষ্কাল কত?
উত্তর: ৭২.৩ বছর [অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০১৭]।

প্রশ্ন: বাংলাদেশের শহরে জনসংখ্যা কতভাগ?
উত্তর: ৩৪.৩% [মানব উন্নয়ন রিপোর্ট ২০১৬]

প্রশ্ন: কোনো দেশের জনসংখ্যাকে আনুষ্ঠানিকভাবে গণনা করাকে কি বলে?
উত্তর: আদমশুমারি।

প্রশ্ন: আদমশুমারি পরিচালনা করে কোন্ সংস্থা?
উত্তর: বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (BBS)।

প্রশ্ন: স্বাধীনতার পর প্রথম আদমশুমারি কবে অনুষ্ঠিত হয়?
উত্তর: ১৯৭৪ সালে।

প্রশ্ন: অবিভক্ত বাংলায় প্রথম কখন আদমশুমারি শুরু হয়?
উত্তর: ১৮৭২ সালে।

প্রশ্ন: বাংলায় প্রথম দশ বছর ভিত্তিক আদমশুমারি অনুষ্ঠিত হয় কবে?
উত্তর: ১৮৭২ সালে।

প্রশ্ন: আদমশুমারি কত বছর পর পর অনুষ্ঠিত হয়?
উত্তর: ১০ বছর।

প্রশ্ন: পঞ্চম আদমশুমারি ও গৃহণনা কবে অনুষ্ঠিত হয়?
উত্তর: ১৫-১৯ মার্চ ২০১১।

প্রশ্ন: পঞ্চম আদমশুমারি ও গৃহগণনা চূড়ান্ত রিপোর্ট কবে প্রকাশ করা হয়?
উত্তর: ১৬ জুলাই ২০১২।

প্রশ্ন: প্রথম জাতীয় জনসংখ্যা নীতি প্রণীত হয় কবে?
উত্তর: ১৯৭৬।

Monday, October 8, 2018

বাংলাদেশের আবহাওয়া ও জলবায়ু

weather and climate


প্রশ্ন: আবহাওয়া বলতে কি বোঝায়?
উত্তর: ভূ-পৃষ্ঠের কোনো স্থানের কয়েকদিনের (কমপক্ষে এক সপ্তাহ) বায়ুর তাপমাত্রা, আর্দ্রতা, বায়ু প্রবাহ, বৃষ্টিপাত প্রভৃতির গড় অবস্থাকে উক্ত স্থানের আবহাওয়া বলে।

প্রশ্ন: জলবায়ু কি?
উত্তর: কোনো নির্দিষ্ট অঞ্চলের অন্তত ৩০-৩৫ বছরের আবহাওয়ার গড় অবস্থাকে জলবায়ু বলে।

প্রশ্ন: বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের ইংরেজি নাম কি?
উত্তর: Bangladesh Meteorological Department (BMD).

প্রশ্ন: বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর কোন্ মন্ত্রণালয়ের অধীন?
উত্তর: প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

প্রশ্ন: বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর কোথায় অবস্থিত?
উত্তর: আগাওগাঁও, ঢাকা।

প্রশ্ন: বাংলাদেশের প্রথম ভূ-কম্পন পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র কোথায়, কবে প্রতিষ্ঠিত হয়?
উত্তর: চট্টগ্রামে, ১৯৫৪ সালে।

প্রশ্ন: বাংলাদেশে বর্তমানে কতটি ভূ-কম্পন পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে?
উত্তর: ৪টি- চট্টগ্রাম, ঢাকা, রংপুর ও সিলেট।

প্রশ্ন: বাংলাদেশে কৃষি আবহাওয়া পূর্বাভাস কেন্দ্র কতটি?
উত্তর: ১২টি।

প্রশ্ন: বাংলাদেশে বর্তমানে কতটি রাডার স্টেশন রয়েছে?
উত্তর: ৫টি (এর মধ্যে ৩টি ডপলার রাডার স্টেশন)।

প্রশ্ন: বাংলাদেশের রাডার স্টেশনগুলো কোথায় অবস্থিত?
উত্তর: ঢাকা, রংপুর, কক্সবাজার, খেপুপাড়া (পটুয়াখালী), মৌলভীবাজার।

প্রশ্ন: বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আঞ্চলিক কেন্দ্র কতটি?
উত্তর: ২টি- ঢাকা ও চট্টগ্রাম।

প্রশ্ন: বাংলাদেশ কোন্ অঞ্চলের অন্তর্গত?
উত্তর: ক্রান্তীয় অঞ্চলের।

প্রশ্ন: বাংলাদেশের জলবায়ু সাধারণভাবে কি নামে পরিচিত?
উত্তর: ক্রান্তীয় মৌসুমী জলবায়ু।

প্রশ্ন: বাংলাদেশের জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য কি?
উত্তর: তাপ, বায়ুর চাপ, আর্দ্রতা, নাতিশীতোষ্ণতা এবং সুস্পষ্ট ঋতুগত বৈচিত্র্য।

প্রশ্ন: মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে এ দেশে কখন বৃষ্টিপাত হয়?
উত্তর: জুন মাস থেকে অক্টোবর পর্যন্ত।

প্রশ্ন: বাংলাদেশ কোন্ ঋতুর দেশ হিসেবে পরিচিত?
উত্তর: ষড়ঋতুর।

প্রশ্ন: বাংলাদেশের বার্ষিক গড় তাপমাত্রা কত?
উত্তর: ২৬.০১ সেলসিয়াস। [সূত্র: মাধ্যমিক ভূগোল]

প্রশ্ন: জানুয়ারি মাসে বাংলাদেশের গড় তাপমাত্রা কত?
উত্তর: ১৮ সেলসিয়াস (সর্বোচ্চ ২৯ সে. ও সর্বনিম্ন ১১ সে.)।

প্রশ্ন: শীতকালে বায়ুপ্রবাহের দিক কি?
উত্তর: উত্তর-পূর্ব দিক থেকে বায়ু প্রবাহিত হয়?

প্রশ্ন: কোন্ সময়ে বাংলাদেশে বায়ুর আর্দ্রতা কম থাকে?
উত্তর: শীতকালে।

প্রশ্ন: বাংলাদেশের জলবায়ু মোটামুটি কিরূপ?
উত্তর: সমভাবাপন্ন।

প্রশ্ন: বাংলাদেশের গড় বৃষ্টিপাত কত?
উত্তর: ২০৩ সেন্টিমিটার [সূত্র: মাধ্যমিক ভূগোল]।

প্রশ্ন: বার্ষিক সর্বোচ্চ গড় বৃষ্টিপাত কোন্ স্টেশনে রেকর্ড করা হয়?
উত্তর: সিলেট।

প্রশ্ন: বাংলাদেশের কোন্ অঞ্চল বেশি খরাপ্রবণ?
উত্তর: উত্তর-পশ্চিম অঞ্চল।



দেশের ৪৩ আবহাওয়া স্টেশন
ঢাকা বিভাগ: 
ঢাকা, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ ও নিকলী (কিশোরগঞ্জ)

ময়মনসিংহ বিভাগ: 
ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনা

চট্টগ্রাম বিভাগ: 
চট্টগ্রাম, সন্দ্বীপ, সীতাকুণ্ড, রাঙামাটি, কুমিল্লা, চাঁদপুর, মাইজদী কোর্ট, ফেনী, হাতিয়া, কক্সবাজার, কুতুবদিয়া ও টেকনাফ

সিলেট বিভাগ: 
সিলেট ও শ্রীমঙ্গল

রাজশাহী বিভাগ:
রাজশাহী, ঈশ্বরদী, বগুড়া, বদলগাছি ও তারাশ

রংপুর বিভাগ: 
রংপুর, দিনাজপুর, সৈয়দপুর, তেঁতুলিয়া, ডিমলা ও রাজারহাট

খুলনা বিভাগ: 
খুলনা, মোংলা, সাতক্ষীরা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুমারখালী

বরিশাল বিভাগ: 
বরিশাল, পটুয়াখালী, খেপুপাড়া ও ভোলা



স্পারসো (SPARRSO)
প্রশ্ন: স্পারসো কি?
উত্তর: মহাকাশ গবেষণা এবং দূর অনুধাবন সংস্থা। এটি ঘূর্ণিঝড় এবং দুর্যোগের ক্ষেত্রেও বাংলাদেশের একমাত্র পূর্বাভাস কেন্দ্র।

প্রশ্ন: SPARRSO এর পূর্ণ রূপ কি?
উত্তর: Space Research and Remote Searching Organization.

প্রশ্ন: স্পারসো কোন্ মন্ত্রণালয়ের অধীন?
উত্তর: প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

প্রশ্ন: স্পারসো কবে প্রতিষ্ঠিত হয়?
উত্তর: ১৯৮০ সালে।

প্রশ্ন: স্পারসো-এর সদর দপ্তর কোথায়?
উত্তর: আগারগাঁও, ঢাকা।

Sunday, October 7, 2018

ভারতের সাথে সীমান্তবর্তী জেলা-উপজেলা-স্থান

ভারতের সাথে সীমান্তবর্তী জেলা-উপজেলা-স্থান 



ময়মনসিংহ বিভাগ
জেলা: জামালপুর
উপজেলা: বকশীগঞ্জ
সীমান্তবর্তী স্থান: ডাংদরা, আমখাওয়া, ধানুয়া

জেলা: শেরপুর
উপজেলা: শ্রীবর্দি, নালিতাবাড়ি
সীমান্তবর্তী স্থান: নাকুগাঁও, হলদীগ্রাম

জেলা: ময়মনসিংহ
উপজেলা: হালুয়াঘাট, ধোবাউড়া
সীমান্তবর্তী স্থান: কড়ইতলী, গোবরা কুড়া

জেলা: নেত্রকোনা 
উপজেলা: কলমাকান্দা, দুর্গাপুর
সীমান্তবর্তী স্থান: বাদামবাড়ি

সিলেট বিভাগ 
জেলা: সিলেট 
উপজেলা: গোয়াইনঘাট, বিয়ানীবাজার, জকিগঞ্জ, জৈন্তাপুর, কানাইঘাট 
সীমান্তবর্তী স্থান:  তামাবিল, পাদুয়া, সোনারহাট, প্রতাপপুর, গোয়াইনঘাট, মীনাটুলা, আংকি, শেওলা, ভোলাগঞ্জ

জেলা: সুনামগঞ্জ 
উপজেলা: ছাতক, তাহিরপুর, দোয়ারাবাজার
সীমান্তবর্তী স্থান: চেলা, ইছামতি, বড়ছড়া, বগলী ও চারাগাঁও

জেলা: মৌলভীবাজার
উপজেলা: শ্রীমঙ্গল, কুলাউড়া, বড়লেখা, কমলগঞ্জ 
সীমান্তবর্তী স্থান: ডোমাবাড়ি, মুড়ি (বেতুলী) ও চাতলাপুর

জেলা: হবিগঞ্জ 
উপজেলা: চুনারুঘাট, মাধবপুর 
সীমান্তবর্তী স্থান: বাল্লা 


চট্টগ্রাম বিভাগ 
জেলা: চট্টগ্রাম 
উপজেলা: ফটিকছড়ি, মিরসরাই 
সীমান্তবর্তী স্থান:

জেলা: রাঙামাটি
উপজেলা: বরকল, বাঘাইছড়ি, জুড়াইছড়ি 
সীমান্তবর্তী স্থান: থেগামুখ 

জেলা: খাগড়াছড়ি 
উপজেলা: পানছড়ি, দীঘিনালা, মাটিরাঙ্গা, রামগড় 
সীমান্তবর্তী স্থান: সাব্রুম, মহামুনি 

জেলা: ফেনী 
উপজেলা: ছাগলনাইয়া, পরশুরাম, ফুলগাজী
সীমান্তবর্তী স্থান: মুহুরীগঞ্জ, বিলোনিয়া, মির্জানগর, পাঠাননগর

জেলা: কুমিল্লা 
উপজেলা: কুমিল্লা সদর, বুড়িচং, চৌদ্দগ্রাম, ব্রাহ্মণপাড়া, কুমিল্লা সদর (দক্ষিণ)
সীমান্তবর্তী স্থান: বিবিধ বাজার 

জেলা: ব্রাহ্মণবাড়িয়া
উপজেলা: ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, আখাউড়া, কসবা, আজমপুর
সীমান্তবর্তী স্থান:


রাজশাহী বিভাগ 
জেলা: জয়পুরহাট 
উপজেলা: জয়পুরহাট সদর, পাঁচবিবি
সীমান্তবর্তী স্থান: চেঁচড়া, আটপাড়া 

জেলা: নওগাঁ
উপজেলা: পোরশা, ধামুরহাট, সাপাহার, পত্নীতলা
সীমান্তবর্তী স্থান: নীতপুর, পাতাড়ী 

জেলা: চাঁপাইনবাবগঞ্জ 
উপজেলা: শিবগঞ্জ, গোমস্তাপুর, ভোলাহাট
সীমান্তবর্তী স্থান: সোনা মসজিদ, জামিনপুর, কুপিতলা, মনাকষা, কিরনগঞ্জ

জেলা: রাজশাহী
উপজেলা: বাঘা, মোহনপুর, চারঘাট, গোদাগাড়ী, পবা
সীমান্তবর্তী স্থান: চর খানপুর, চর মাজারদিয়ার 


রংপুর বিভাগ 
জেলা: কুড়িগ্রাম 
উপজেলা: নাগেশ্বরী, ভুরুঙ্গামারী, রাজিবপুর, রৌমারি, ফুলবাড়ি
সীমান্তবর্তী স্থান: কলাবাড়ি, বড়াইবাড়ি, ভন্দরচর, ইতালমারী, সোনাহাট 

জেলা: লালমনিরহাট
উপজেলা: পাটগ্রাম, আদিতমারী, কালিগঞ্জ, হাতিবান্ধা
সীমান্তবর্তী স্থান: দহগ্রাম, বুড়িমারি, মোগলহাট 

জেলা: পঞ্চগড়
উপজেলা: পঞ্চগড় সদর, তেঁতুলিয়া, আটোয়ারী
সীমান্তবর্তী স্থান: বেরুবাড়ি, বাংলাবান্ধা, মাঝিপাড়া 

জেলা: নীলফামারী
উপজেলা: ডোমার, ডিমলা
সীমান্তবর্তী স্থান: চিলাহাটি, ডালিয়া 

জেলা: ঠাকুরগাঁও
উপজেলা: রানীশঙ্কাইল, বালিডাঙ্গি, হরিপুর, পীরগঞ্জ
সীমান্তবর্তী স্থান: ডাবরী, জগদল, মলানী 

জেলা: দিনাজপুর
উপজেলা: বিরল, হাকিমপুর, বিরামপুর, ফুলবাড়ী
সীমান্তবর্তী স্থান: হিলি, বাসুদেবপুর 


খুলনা বিভাগ 
জেলা: মেহেরপুর
উপজেলা: মুজিবনগর, গাংনী
সীমান্তবর্তী স্থান: দরিয়াপুর, মাছপাড়া 

জেলা: কুষ্টিয়া
উপজেলা: দৌলতপুর, ভেড়ামারা
সীমান্তবর্তী স্থান: প্রাগপুর, চল্লিশপাড়া, ছলিমের চর 

জেলা: চুয়াডাঙা 
উপজেলা: দামুড়হুদা, জীবনগর
সীমান্তবর্তী স্থান: দর্শনা, দৌলতগঞ্জ, আটকবর, মাজদিয়া 

জেলা: ঝিনাইদহ 
উপজেলা: মহেশপুর
সীমান্তবর্তী স্থান: শ্রীনাথপুর, শ্যামকুড়, বাঘাডাঙ্গা 

জেলা: যশোর
উপজেলা: শার্শা, চৌগাছা
সীমান্তবর্তী স্থান: বেনাপোল, ঝিকরগাছা, দৌলতপুর 

জেলা: সাতক্ষীরা 
উপজেলা: কালীগঞ্জ, দেবহাটা, শ্যামনগর, কলারোয়া
সীমান্তবর্তী স্থান: কুশাখালী, বৈকারী, কৈখালী, পদ্মশাখরা, তলুইগাছা, ভোমরা 

Saturday, October 6, 2018

বাংলাদেশের সীমান্ত

Border Area


প্রশ্ন: বাংলাদেশের সীমান্ত রয়েছে কতটি দেশের সাথে?
উত্তর: ২টি – ভারত ও মিয়ানমার।

প্রশ্ন: বাংলাদেশের মোট সীমান্তবর্তী জেলা কতটি?
উত্তর: ৩২টি।

প্রশ্ন: বাংলাদেশের সাথে ভারতের সীমান্তবর্তী জেলা কতটি?
উত্তর: ৩০টি।

প্রশ্ন: মিয়ানমারের সাথে সীমান্তবর্তী জেলা কতটি?
উত্তর: ৩টি-রাঙামাটি, বান্দরবান ও কক্সবাজার।

প্রশ্ন: ভারত ও মিয়ানমারের সাথে একমাত্র সীমান্তবর্তী জেলা কোনটি?
উত্তর: রাঙামাটি।

প্রশ্ন: বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী কোন্ কোন্ জেলার সাথে ভারতের কোনো সংযোগ নেই?
উত্তর: বান্দরবান ও কক্সবাজার।

প্রশ্ন: কোন দুটি বিভাগের সবগুলো জেলা সীমান্তবর্তী?
উত্তর: সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগ।

প্রশ্ন: বাংলাদেশের কোন্ কোন্ বিভাগের সাথে ভারতের কোনো সীমান্ত সংযোগ নেই?
উত্তর: ঢাকা ও বরিশাল বিভাগ।

প্রশ্ন: বাংলাদেশের সাথে পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তবর্তী জেলা কতটি ও কি কি?
উত্তর: ৮টি – মুর্শিদাবাদ, নদীয়া, চব্বিশ পরগনা, মালদহ, বীরভূম, কুচবিহার, জলপাইগুড়ি ও বারাসাত।

প্রশ্ন: বাংলাদেশের সীমান্ত সংগল্প ভারতের প্রদেশ (রাজ্য) কতটি?
উত্তর: ৫টি – মেঘালয়, আসাম, পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা ও মিজোরাম।

প্রশ্ন: একমাত্র কোন বিভাগের সাথে মিয়ানমারের সীমান্ত সংযোগ রয়েছে?
উত্তর: চট্টগ্রাম।

প্রশ্ন: ভারতের সাথে বাংলাদেশের স্থল সীমান্ত দৈর্ঘ্য কত?
উত্তর: ৩,৯৭৬ কিমি (নদী ছাড়া)।

প্রশ্ন: ভারতের সাথে বাংলাদেশের সীমান্ত দৈর্ঘ্য কত?
উত্তর: ৪,১৫৬ কিমি [৩,৭১৫.১৮ কিমি (সূত্র: মা. ভূগোল)]।

প্রশ্ন: মিয়ানমারের সাথে বাংলাদেশের সীমান্ত দৈর্ঘ্য কত?
উত্তর: ২৭১ কিমি [২৮০ কিমি (সূত্র: মা. ভূগোল)]।

প্রশ্ন: ভারতের সাথে বাংলাদেশের অচিহ্নিত সীমান্ত দৈর্ঘ্য কত?
উত্তর: ২ কিমি (ফেনীল মুহুরীর চর)।

প্রশ্ন: বাংলাদেশ-ভারতে মধ্যে সীমান্ত হাটবিষয়ক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয় কবে?
উত্তর: ২৩ অক্টোবর ২০১০।

প্রশ্ন: বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে প্রথম সীমান্ত হাট কবে, কোথায় চালু হয়?
উত্তর: ২৩ জুলাই ২০১১; বালিয়ামারী, কুড়িগ্রাম।