Showing posts with label news. Show all posts
Showing posts with label news. Show all posts

Tuesday, August 25, 2020

প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা হবে না

 


করোনার সংক্রমণের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে চলতি বছরের প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা কেন্দ্রীয়ভাবে হবে না। এই পরীক্ষা না নেওয়ার বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তবে বিদ্যালয় খোলা সম্ভব হলে নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বার্ষিক পরীক্ষা হবে। আজ মঙ্গলবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন এবং জ্যেষ্ঠ সচিব আকরাম-আল হোসেন সাংবাদিকদের এই তথ্য জানিয়েছেন।

এই পরীক্ষা না নেওয়ার জন্য কয়েক দিন আগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সারসংক্ষেপ আকারে প্রস্তাব পাঠিয়েছিল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

তারও আগে ৬ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা না নেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করার কথা বলা হয়।

প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো প্রস্তাবে বলা হয়েছিল, করোনার কারণে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে স্বাভাবিক পাঠদান কার্যক্রম ১৮ মার্চ থেকে বন্ধ। ছুটির মেয়াদ ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। সেপ্টেম্বরে বিদ্যালয়গুলো খুলে দেওয়া হলেও করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে অভিভাবকেরা তাঁদের সন্তানদের বিদ্যালয়ে না-ও পাঠাতে পারেন। তখন যারা বিদ্যালয়ে যাবে এবং যারা যাবে না, তাদের মধ্যে বৈষম্য সৃষ্টি হবে।

জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমির করা পাঠ পরিকল্পনা অনুযায়ী পঞ্চম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষা নিতে হলে আরও প্রায় ৫০ কার্যদিবস পাঠদান প্রয়োজন। কিন্তু সেপ্টেম্বরে বিদ্যালয় না খোলা গেলে যে কার্যদিবস থাকবে, এতে পঞ্চম শ্রেণির বাকি পাঠদান শেষ করা সম্ভব নয়।

প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা না নেওয়ার উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছিলেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধূরী। কয়েক দিন আগে প্রথম আলোকে তিনি বলেন, শুধু এ বছর নয়, সমাপনী পরীক্ষা একেবারেই বাতিল করা উচিত। কারণ, তাঁরা গবেষণা করে দেখেছেন, এই পরীক্ষাটি কোনো কাজে আসছে না। বরং কোচিং-প্রাইভেটের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে উপবৃত্তির পরিমাণ ও পরিসর আরও বাড়ানো উচিত। আর কীভাবে মেধাবৃত্তি দেওয়া যায়, সে বিষয়েও বিকল্প চিন্তাভাবনা করতে হবে।

Thursday, April 9, 2020

২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত বেড়ে দ্বিগুণ


দেশে গত কয়েকদিন ধরে দ্বিগুণ হারে বাড়ছে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। সর্বশেষ গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত করা হয়েছে ১১২ জন। অথচ এই সংখ্যাটা আগের দিন ছিল ৫৪ জন। অর্থাৎ দ্বিগুণ থেকেও বেশি।

যদি গত এক সপ্তাহের কথা বিবেচনা করা হয়, তাহলে সংখ্যাটা দাঁড়ায় ঠিক এমন ৯, ১৮, ৩৫, ৪১, ৫৪, ১১২। দেখা যাচ্ছে, প্রতিদিনই করোনা রোগী শনাক্তের সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হারে বাড়ছে। যা এটা প্রমাণ করে যে করোনাভাইরাস সংক্রমণের সর্বোচ্চ স্তরে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশ।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে করোনাভাইরাস সংক্রমণের স্তর চারটি। এর মধ্যে সর্বশেষ ও চতুর্থ স্তর হলো- সামাজিকভাবে তা ছড়িয়ে পড়া। অর্থাৎ দেশে এই মুহূর্তে সামাজিকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। বিদেশ ফেরতদের থেকেও বেশি সংক্রমিত হচ্ছেন সাধারণ জনগণ। ইতোমধ্যে তা ২১টি জেলা ও বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে গেছে। সংখ্যাটা ক্রমশ বাড়ছে।

চীন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, স্পেন, ফ্রান্সসহ বিশ্বের যেসব দেশে ইতোমধ্যে বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে সে দেশের সংক্রমণের ধারা পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার এক মাসের মধ্যে ভাইরাসটি ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ে। বাংলাদেশেও এক মাস হয়ে গেছে। অর্থাৎ গভীর সংকটের মুখোমুখি দেশ।

এদিকে, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় যে ১১২ রোগী শনাক্ত করা হয়েছে, তার মধ্যে ৬২ জনই ঢাকার বাসিন্দা। এ ছাড়া ১৩ জন নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দা। বাকিরা দেশের অন্যান্য স্থানের। সবমিলিয়ে শুধু ঢাকায় এখন পর্যন্ত ১৯১ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া নারায়ণগঞ্জে ৫৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে আরো একজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত ব্যক্তি এক জন পুরুষ ও তার বয়স ৬০ বছর। এ নিয়ে দেশে মোট মৃত্যুবরণ করেছেন ২১ জন। আর এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৩৩ জন।

নারায়ণগঞ্জকে ‘হটস্পট’ হিসেবে চিহ্নিত


নারায়ণগঞ্জকে করোনাভাইরাস সংক্রমণের হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক ড. মীরাজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা। আজ বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত করোনা বিষয়ক বিশেষ বুলেটিনে তিনি এ কথা জানান।

ড. মীরাজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ঢাকায়। এরপরেই অবস্থান করছে নারায়ণগঞ্জ। তাই জেলাটিকে ইতোমধ্যে করোনা সংক্রমণের একটি হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জের বিষয়ে বিশেষ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন জেলায় যেসব রোগী শনাক্ত হচ্ছে, তাদের অধিকাংশই পূর্বে সংক্রমিত হয়েছে এমন এলাকা থেকে আসছে। এই সংক্রমণকে ক্লাস্টার (এক জায়গায় একসঙ্গে কয়েকজন আক্রান্ত) বলা হয়। অর্থাৎ সেই এলাকা থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে কোভিড-১৯ সংক্রমণ ছড়াচ্ছে।

সম্প্রতি দেশে যত সংক্রমণ হচ্ছে সেগুলোর দিকে তাকালে দেখা যায়, অধিকাংশই নারায়ণগঞ্জ থেকে অন্য এলাকায় গেছেন। পাশাপাশি তাদের থেকে অন্যরাও সংক্রমিত হচ্ছেন। তাই নারায়ণগঞ্জকে আলাদা করা হয়েছে।

সবাইকে ঘরে থাকতে অনুরোধ জানিয়ে আইইডিসিআর পরিচালক বলেন, এই মুহূর্তে সবার ঘরে থাকা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ভাইরাসটি এখন ক্লাস্টারের মাধ্যমে ছড়াচ্ছে।

পুরো দেশের মধ্যে করোনা সংক্রমণের ভয়াবহ ঝুঁকির তালিকায় রয়েছে নারায়ণগঞ্জ। সেখানে ইতোমধ্যে ৫৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। মৃত্যুবরণ করেছেন বেশ কয়েকজন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছেন ১৩ জন।

মসজিদের খাদেম করোনা আক্রান্ত, এলাকা লকডাউন



রাজধানীর রায়েরবাজারের শহীদ বুদ্ধিজীবী জামে মসজিদের এক খাদেম প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করার পর ওই মসজিদের আশপাশের এলাকা অবরুদ্ধ করা হয়েছে।
এ তথ্য নিশ্চিত করে ঢাকা মহানগর পুলিশের মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী কমিশনার রৌশনুল হক সৈকত গণমাধ্যমকে জানান, ওই খাদেম বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। নমুনা পরীক্ষার পর তার শরীরে করোনাভাইরাসে অস্তিত্ব পাওয়া যায়। আইইডিসিআর থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করার পর ওই মসজিদ সংলগ্ন এলাকা লকডাউন করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, ইতোমধ্যে ওই মসজিদের ইমামসহ সকলকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। জনস্বার্থে এলাকায় মাইকিং করা হয়েছে। কেউ যেন জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের না হয়, সে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শেখ মোহাম্মদ হোসেন খোকন জানান, ওই মসজিদের ভেতর দুই জন খাদেম থাকতেন। তাদেরই একজন করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন। পুলিশ ইতোমধ্যে ওই এলাকা লকডাউন করেছে।

বাংলাদেশে চিকিৎসক পাঠাচ্ছে চীন, প্রধানমন্ত্রীর ধন্যবাদ


করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সম্প্রতি বাংলাদেশকে কিট, মাস্ক, পিপিই, থার্মোমিটারসহ বিপুল পরিমাণ মেডিকেল সামগ্রী পাঠিয়েছে চীন সরকার। এবার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ১৫ জন চিকিৎসককে বাংলাদেশে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি।

আজ বৃহস্পতিবার এক ভিডিও বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং।

এদিকে, করোনা মোকাবেলায় বাংলাদেশকে সহায়তা দেওয়ায় চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে ধন্যবাদ জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে জ্যাক মা ফাউন্ডেশন ও আলিবাবার কাছেও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তিনি।

চিঠিতে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় চীনের সাফল্যের অভিজ্ঞতা বাংলাদেশ ও বিশ্বের সামনে উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। সেই ধারাবাহিকতায় বিশ্বে করোনা প্রতিরোধে চীনা প্রেসিডেন্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন বলে প্রত্যাশা করেন তিনি।

এর আগে গত ২৬ মার্চ করোনা পরীক্ষার জন্য ১০ হাজার টেস্ট কিট, ১০ হাজার মেডিকেল প্রটেক্টিভ ক্লথিং, এক হাজার ইনফারেট থার্মোমিটার ও অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ৫০০টি কিট বাংলাদেশকে উপহার দেয় চীন সরকার।

পরদিন ২৭ মার্চ বাংলাদেশকে ৩০ হাজার কিট উপহার দিয়েছেন চীনের বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান আলিবাবার প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক মা। পরবর্তীতে আরো তিন লাখ মাস্ক পাঠায় জ্যাক মা ফাউন্ডেশন।