Showing posts with label জীবনের জন্য. Show all posts
Showing posts with label জীবনের জন্য. Show all posts

Friday, March 20, 2020

১০ হাজার ছাড়িয়েছে মৃতের সংখ্যা


করোনাভাইরাসে মৃত্যুর মিছিল যেন থামছেই না। প্রতিনিয়ত এই মিছিল লম্বা হচ্ছে। ইতোমধ্যে পুরো বিশ্বে ১০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে মৃতের সংখ্যা। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী এ সংখ্যাটা ১০ হাজার ৫০ জনে দাঁড়িয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় আড়াই লক্ষের কাছাকাছি।

গত ২৪ ঘণ্টায় শুধু ইতালিতেই নতুন করে মারা গেছেন আরো ৪২৭ জন। এ নিয়ে সেখানে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৩ হাজার ৪০৫ জনে। যা বিশ্বের মধ্যে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। এই সংখ্যাটা বেড়ে কোথায় গিয়ে ঠেকে তা নিয়ে উদ্বিগ্ন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

গত একদিনে দেশটিতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যাও উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে। এদিন মোট ৫ হাজার ৩২২ জন নতুন করে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন। সবমিলিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৪১ হাজার ৩৫ জনে। এদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আছেন ২ হাজার ৪৯৮ জন।

এ ছাড়া চীনে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন ৩ হাজার ২৪৮ জন। সংক্রমণের সংখ্যা ৮০ হাজার ৯৬৭ জন। এরমধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৭১ হাজার ১৫০ জন। আর বর্তমানে বিভিন্ন হাসপাতালে ৬ হাজার ৫৬৯ জন রোগী চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন।

সর্বোচ্চ মৃত্যুর দিক দিয়ে এরপরেই অবস্থান করছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরান। সেখানেও প্রতিনিয়ত মৃত্যুর মিছিল বাড়ছে। ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে সেখানে এখন পর্যন্ত এক হাজার ২৮৪ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। সংক্রমিত হয়েছেন ১৮ হাজার ৪০৭ জন। এরমধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৫ হাজার ৯৭৯ জন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন ১১ হাজার ১৪৪ জন রোগী।

এদিকে পুরো বিশ্বব্যাপী এখন পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেছেন ১০ হাজার ৫০ জন। এ সংখ্যাটা ক্রমশ বাড়ছে। আক্রান্ত হয়েছেন ২ লক্ষ ৪৫ হাজার ৬৬০ জনের অধিক। এদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৮৮ হাজার ৪৩৭ জন এবং বর্তমানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন এক লক্ষ ৩৯ হাজার ৭৯৬ জন।

মৃত্যুর মিছিলে চীনকে ছাড়িয়ে গেল ইতালি


করোনাভাইরাসকে প্রথমে খুব একটা গুরুত্ব দেয়নি বিশ্বের অন্যতম অর্থনৈতিক সমৃদ্ধশালী দেশ ইতালি। যার খেসারত এখন প্রত্যেকটা মুহূর্তে দিতে হচ্ছে। পুরো দেশটি মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে। গতকালই একদিনের মৃত্যুর রেকর্ডে চীনকে ছাড়িয়ে গিয়েছিল। এবার সর্বোচ্চ মৃত্যুর মিছিলেও চীনকে ছাড়িয়ে গেল তারা।

প্রতিদিনই সেখানে মৃত্যুর মিছিল বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে মারা গেছেন আরো ৪২৭ জন। এ নিয়ে ইতালিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৩ হাজার ৪০৫ জনে। যা বিশ্বের মধ্যে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। এই সংখ্যাটা বেড়ে কোথায় গিয়ে ঠেকে তা নিয়ে উদ্বিগ্ন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

গত একদিনে দেশটিতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যাও উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে। এদিন মোট ৫ হাজার ৩২২ জন নতুন করে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন। সবমিলিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৪১ হাজার ৩৫ জনে। এদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আছেন ২ হাজার ৪৯৮ জন।

তবে এতো খারাপ সংবাদের মধ্যেও ভালো খবর হচ্ছে, ইতালিতে ইতোমধ্যে অনেকেই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। এ সংখ্যাটা এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৪৪০ জন। যা কিছুটা হলেও স্বস্তি দিচ্ছে।

করোনা মোকাবেলায় বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে দেশটির সরকার। প্রতিটি নাগরিককে নিজ নিজ অবস্থান থেকে নিয়ম মেনে চলার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হওয়ায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। মাইকিং করে সতর্ক করা হয়েছে। আর নির্দেশ অমান্য করলেই জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।

লক্ষ লক্ষ মানুষের মৃত্যুর শঙ্কা জাতিসংঘের


প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণে বিশ্বব্যাপী, বিশেষ করে দরিদ্র দেশগুলোতে কয়েক মিলিয়ন (১০ লাখে এক মিলিয়ন) মানুষের মৃত্যু হতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তেনিও গুতেরেস।

গতকাল বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের মহাসচিব এমন শঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, নতুন এই করোনাভাইরাস যদি অবাধে ছড়িয়ে পড়ে তাহলে কয়েক মিলিয়ন মানুষ, বিশেষ করে দরিদ্র দেশগুলোতে, মারা যেতে পারে। এই মহামারি মোকাবেলায় বৈশ্বিক সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

গুতেরেস বলেন, ‘আমরা যদি এই ভাইরাসকে দাবানলের মতো ছড়াতে দেই, বিশেষ করে বিশ্বের ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলগুলোতে, তাহলে এটি কয়েক মিলিয়ন মানুষকে মেরে ফেলবে।

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘এক্ষেত্রে বৈশ্বিক সংহতিকে শুধু নৈতিক বিষয় হিসেবে দেখলে হবে না, বরং এটা প্রত্যেকের স্বার্থেই করতে হবে।’

পরিস্থিতি মোকাবেলায় জাতিসংঘ মহাসচিব বিশ্বের ধনী ২০টি দেশকে দরিদ্রদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান। সেইসঙ্গে বিশ্বব্যাংক, আইএমএফের মতো দাতা সংস্থাগুলোর প্রতিও ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, ওয়াল্ডোমিটারের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী বিশ্বে এ পর্যন্ত করোনায় ১০ হাজার ৪৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর আক্রান্ত হয়েছে ২ লাখ ৪৫ হাজার ৯২২ জন।

দেশে মোট আক্রান্ত ২০


দেশে করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় মোট তিনজন আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে দেশে মোট ২০ জন আক্রান্ত হলেন। আজ শুক্রবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ তত্ত্ব রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) এ তথ্য জানিয়েছে।

এক সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আক্রান্তদের মধ্যে একজন মহিলা এবং দুইজন পুরুষ। মহিলার বয়স ৩০ এর কোটায়। তিনি ইতালি ফেরত ব্যক্তির সংস্পর্শে এসে আক্রান্ত হয়েছেন। দুই পুরুষের একজনের বয়স ৭০ এবং অন্যজন ৩০। ৭০ বছর বয়সী ব্যক্তির অবস্থা আশঙ্কাজনক। তিনিও ইতালি ফেরত ব্যক্তির সংস্পর্শে এসে আক্রান্ত হন। তিনি আইসিইউতে আছেন।

অন্যদিকে, ৩০ বছর বয়সী পুরুষ ইউরোপ থেকে এসেছেন। 

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইইডিসিআরে কল এসেছে ২৪১৭। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে কল এসেছে ২৯ হাজার ৯৬২। আইইডিসিআরে আসা কলের মধ্যে ২২৬৯টি কোভিড-১৯ সংক্রান্ত। 

কলগুলোর মধ্যে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৩৬ জনের। 

অন্যদিকে, দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে আইসোলেশনে রয়েছে ৩০। আর সরকারিভাবে কোয়ারেন্টাইনে আসে ৪৪ জন। 

উল্লেখ্য, এ পর্যন্ত দেশে একজনের মৃত্যু হয়েছে।

জাপানে ওষুধ প্রয়োগে ৪ দিনেই করোনা মুক্তি!


করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক হিসেবে জাপান যে ওষুধ ব্যবহার করেছে তা ‘স্পষ্টতই কার্যকর’ ভূমিকা পালন করেছে বলে দাবি করা হচ্ছে। ওষুধটি প্রয়োগে মাত্র চার দিনে করোনা রোগীর নেগেটিভ রেজাল্ট এসেছে। দেশটির সরকারি গণমাধ্যম এনএইচকে’র বরাত দিয়ে দ্য গার্ডিয়ান এ খবর দিয়েছে।

ওষুধটি প্রয়োগে উৎসাহব্যঞ্জক ফলাফল পাওয়া গেছে বলে দাবি করেছেন চীনের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ঝাং শিনমিন।


তিনি বলেন, জাপানের ফুজিফিল্মের সহায়ক প্রতিষ্ঠান টোয়ামা ক্যামিক্যাল কোম্পানি ফ্যাভিপিরাভির নামের ওই প্রতিষেধকটি ডেভেলপ করেছে, ২০১৪ সালে যা অ্যাভিগান নামে পরিচিত ছিল। পরীক্ষামূলক প্রয়োগের অংশ হিসেবে উহান ও শেনঝেনে ৩৪০ জন রোগীর ওপর আমরা প্রতিষেধকটি প্রয়োগ করেছি। এতে উৎসাহব্যঞ্জক ফলাফল পাওয়া গেছে।

তিনি আরো বলেন, ‘ওষুধটি সম্পূর্ণ নিরাপদ ও এবং চিকিৎসার ক্ষেত্রে স্পষ্টতই কার্যকর।’

জাপানের সরকারি গণমাধ্যম এনএইচকে বলছে, ওষুধটি প্রয়োগের মাত্র চারদিনের মধ্যে করোনা আক্রান্ত রোগীর নেগেটিভ রেজাল্ট এসেছে। আর যাদের এ ওষুধটি দিয়ে চিকিৎসা করা হয়নি তাদের ১১ দিন লেগেছে সেরে উঠতে। 

অন্যদিকে, এক্সরে রিপোর্টে দেখা যায়, ফ্যাভিপিরাভির দিয়ে যাদের চিকিৎসা করা হয়েছে তাদের ফুসফুসের ক্ষেত্রে ৯১ শতাংশ উন্নতি হয়েছে। আর যাদের এ ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়নি তাদের ক্ষেত্রে ৬২ শতাংশ উন্নতি হয়েছে। 

তবে দ্য গার্ডিয়ান বলছে, চীনের ওই কর্মকর্তা ওষুধের কার্যকারিতার ব্যাপারে এমন দাবি করলেও এর প্রস্তুতকারী কোম্পানি টোয়ামা ক্যামিক্যাল কোনো মন্তব্য করেনি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার ঝাং ওই ঘোষণা দেওয়ার পরই কোম্পানিটির শেয়ারের দামে উন্নতি হয়েছে।

জাপানের চিকিৎসকরা মাঝারি ধরনের উপসর্গ রয়েছে- এমন রোগীর ওপর ওই একই ওষুধের পরীক্ষা চালাচ্ছেন। তারা আশা করছেন, এর ফলে রোগী জটিল পরিস্থিতির দিকে যাওয়া থেকে রক্ষা পাবে।

অন্যদিকে, জাপানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র দাবি করছে, যেসব রোগীর অবস্থা গুরুতর তাদের ক্ষেত্রে ওষুধটি তেমনটা কার্যকর না।

সূত্রটি বলছে, ‘ভাইরাসটি নানা জটিলতা তৈরি করেছে- এমন ৭০ থেকে ৮০ জন রোগীর ওপর অ্যাভিগান ওষুধটি প্রয়োগ করেছি। কিন্তু আশানুরূপ কোনো ফলাফল পাইনি।’

সূত্রের বরাত দিয়ে গার্ডিয়ান বলছে, এর আগে করোনা রোগীর ক্ষেত্রে এইচআইভি সংক্রান্ত লোপিনাভির ও রিটোনাভির সমন্বিত প্রয়োগেও একই ধরনের সীমাবদ্ধতা পাওয়া গেছে।

এদিকে, জাপানে ফ্যাভিপিরাভির ওষুধটি করোনা রোগীদের ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে চাইলে সরকারের অনুমোদন লাগবে। দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মে মাসের শুরুতেই ওষুধটি ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হতে পারে।

তবে গবেষণার ফলাফল পেতে দেরি হলে অনুমোদন পেতেও বিলম্ব হবে বলে জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাসে পুরো বিশ্বে ১০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে মৃতের সংখ্যা। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী সংখ্যাটা ১০ হাজার ৫০ জনে দাঁড়িয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় আড়াই লাখের কাছাকাছি।