বন্যপ্রাণীর মাংস বেচা-কেনা এবং খাওয়ার জন্য চীন পুরো বিশ্বের কাছে বিতর্কিত। এমনকি দেশটিতে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ার পর অনেকেই তাদের এ বদঅভ্যাসকেই দায়ী করেন। এমতাবস্থায় দেশটিতে প্রথম শহর হিসেবে কুকুর-বিড়াল শিকার, মাংস বেচা-কেনা এবং খাওয়া নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে শেনঝেন। খবর বিবিসি।
এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে দেশটির সরকার বন্যপ্রাণী শিকার, মাংস বেচা-কেনা এবং খাওয়া বন্ধ করতে আইন সংশোধনের উদ্যোগ নেয়। যার প্রেক্ষিতে শেনঝেনের সরকার এমন সিদ্ধান্ত নেয়। আগামী ১ মে থেকে দক্ষিণাঞ্চলীয় এ শহরটিতে নতুন এ আইন কার্যকর হবে।
শেনঝেন সরকারের একেজন মুখপাত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, পৃথিবীর বেশিরভাগ দেশেই কুকুর-বিড়ালের মাংস খাওয়া অপরাধ হিসেবে গণ্য হয়। কারণ মানুষের পোষা প্রাণীদের মধ্যে এরা অন্যতম। তাই মানবিকতার দিক বিবেচনা করেই তারা নতুন এই আইন কার্যকর করছেন।
এ বিষয়ে দেশটির অর্থনৈতিক আইন বিভাগের পরিচালক ওয়াং রুইহে বলেন, চীনের সাধারণ মানুষের বিভিন্ন বন্যপ্রাণী খাওয়ার প্রবণতার করণেই তাদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বেড়েছে। এমনকি বিশ্বজুড়ে এর সমালোচনাও হয়েছে। ধারণা করা হয়, বন্যপ্রাণী থেকেই দেশটির প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস মানুষের শরীরে ছড়িয়েছে।
হিউম্যান সোসাইটি ইন্টারন্যাশনালের (এইচএসআই) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এশিয়ায় প্রতি বছর মাংসের জন্য ৩০ মিলিয়ন কুকুর হত্যা করা হয়। চীনে এই প্রবণতা সবচেয়ে বেশি। তবে সম্প্রতি কয়েক বছরে তা কমে এসেছে। এখন দেশটির অধিকাংশ মানুষই কুকুর-বিড়ালের মাংস খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে।
No comments:
Post a Comment