করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে গত এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে দেশব্যাপী সাধারণ ছুটি চলছে। আগামী ১১ এপ্রিল পর্যন্ত তা বলবৎ থাকবে। এ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন দরিদ্র, অসহায় ও নিম্ন আয়ের মানুষেরা। ইতোমধ্যে তাদের সাহায্যে এগিয়ে এসেছেন সমাজের সর্বস্তরের জনগণ।
দরিদ্র ও অসহায় পরিবারগুলোর কাছে এরইমধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন এগিয়ে এসেছে। অনেকে ব্যক্তি উদ্যোগেও খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করছেন।
কিন্তু এতকিছুর পরও নিম্ন আয়ের পরিবারগুলো ঠিকভাবে খাদ্যসামগ্রী পাচ্ছে না। আত্মসম্মানের ভয়ে অধিকাংশই ত্রাণ নিতে বাড়ির বাইরে আসছেন না। ফলে নিদারুণ কষ্টে তাদের দিন অতিবাহিত করতে হচ্ছে।
তাই গৃহবন্দি হয়ে পড়া সমাজের নিম্ন আয়ের মানুষেরা যেন ত্রাণ সহায়তা পান সেজন্য তাদের বাড়িতে গিয়ে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. শাহ কামাল গণমাধ্যমকে বলেন, করোনার প্রাদুর্ভাব কমাতে সরকার ঘোষিত দেশব্যাপী চলমান ছুটির মধ্যে নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের অনেকে আর্থিক সংকটে পড়তে পারেন। কিন্তু আত্মসম্মানের ভয়ে হাত পাতা কিংবা লাইনে দাঁড়িয়ে ত্রাণ নেয়া তাদের পক্ষে সম্ভব না।
এজন্য তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে দিতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ইতোমধ্যে ডিসিদের কাছে চার দফায় মোট ৪৮ হাজার ৫০০ মেট্রিকটন চাল এবং নগদ প্রায় ১৬ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। সামনে আরো দেয়া হবে। ইনশাআল্লাহ দেশে ত্রাণের কোনো সংকট দেখা দেবে না, যোগ করেন সিনিয়র সচিব।
No comments:
Post a Comment