প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) আতঙ্কে সারা বিশ্বের মানুষ যখন ঘরে বসে আছে, তখন সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে যাচ্ছেন চিকিৎসকরা। আক্রান্ত রোগীদের সেবা দিতে গিয়ে পর্যাপ্ত সুরক্ষা ব্যবস্থার অভাবে সংক্রমিত হচ্ছেন নিজেরাই। হারাচ্ছেন জীবনও। তারপরও যুদ্ধের ময়দান ছেড়ে পালাননি এসব বীর যোদ্ধা।
বাংলাদেশেও কোভিড-১৯ ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দিলে সুরক্ষা সামগ্রীর সংকটে পড়েন চিকিৎসকরা। তবে থেমে যাননি তারা। পর্যাপ্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা ছাড়াই করোনাভাইসের উপসর্গ নিয়ে আসা রোগীদের দিয়ে যাচ্ছেন চিকিৎসা সেবা। অনেক হাসপাতালে চিকিৎসকরা পারসোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্টের (পিপিই) পরিবর্তে ব্যবহার করছেন রেইনেকোট। অনেক জায়গায় মুখে শুধুই ব্যবহার করা হচ্ছে সার্জিক্যাল মাস্ক। তেমনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালের চিকিৎসকরা ফেস শিল্ডের পরিবর্তে ব্যবহার করছেন পলিথিন দিয়ে বানানো প্রটেকশন।
বুধবার আমির মোহাম্মদ নামের এক ব্যক্তি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বিএসএমএমইউ হাসাপাতালের চিকিৎসকদের ছবি শেয়ার দিয়ে বলেন, হ্যাঁ, এটা বাংলাদেশের ডাক্তারদের ছবি। কোভিড-১৯ ভাইরাসের চিকিৎসা দিতে গিয়ে ফেস শিল্ডের সংকটে পড়েন বিএসএএমইউ হাসপাতালের চিকিৎসকরা। তবে তারা থেমে থাকেননি। নিজেরাই চকবাজার থেকে পলিথিন কিনে এনে বানিয়ে নিয়েছেন ৭০০ ফেস শিল্ড। এ প্রটেকশন নিয়েই দিয়ে যাচ্ছেন চিকিৎসা সেবা।
তিনি আরো বলেন, দেশের এমন পরিস্থিতিতে নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাওয়া এসব মহান ডাক্তারদের অনেকে সমালোচনা করেছেন। এবার একটু দাঁড়িয়ে তাদের স্যালুট জানান।
প্রসঙ্গত, দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে আতঙ্কে অনেক হাসপাতালে সাধারণ রোগে আক্রান্ত রোগীদেরও চিকিৎসা সেবা দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়। এমনকি চিকিৎসার অভাবে অনেক রোগীর মারা যাওয়ার অভিযোগও উঠে। তখন দেশজুড়ে এ নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠে।
দেশে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন মোট ২১৮ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ২০ জন। চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়েছেন ৩৩ জন।
No comments:
Post a Comment