দীর্ঘ কারাবন্দি জীবন শেষে রাজধানীর গুলশানে নিজ বাসভবন ফিরোজায় পৌঁছেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। আজ বুধবার ২৫ মাস পর তাকে কারাগার থেকে মুক্তি দেয়া হয়। আপাতত নিজ বাসভবনেই থাকবেন তিনি।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, নেত্রীকে মুক্ত অবস্থায় দেখে স্বস্তি লাগছে। তার এখন বিশ্রাম প্রয়োজন। বাকি প্রতিক্রিয়া পরবর্তীতে জানানো হবে।
এ সময় নেতাকর্মীদের বাড়ির সামনে ভিড় না করে সেখান থেকে সরে যাওয়ার আহ্বান জানান তিনি। দলের অন্যান্য নেতৃবৃন্দও একই আহ্বান জানান।
খালেদা জিয়ার মুক্তি উপলক্ষে আজ বুধবার সকাল থেকেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে জড়ো হতে থাকেন দলটির নেতাকর্মীরা। নেত্রীকে এক নজর দেখতে তাদের উৎসাহ ছিল চোখ পড়ার মতো। করোনাভাইরাস সংক্রমণের সম্ভাবনা উপেক্ষা করেই তারা জড়ো হন।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় গুলশানের নিজ বাসভবনে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশেই কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, মানবিক দিক বিবেচনায় খালেদা জিয়াকে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ব্যাপারে ইতোমধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করা হয়েছে।
আইনমন্ত্রী বলেন, আইনি প্রক্রিয়ায় দুই শর্তে বেগম জিয়ার দণ্ডাদেশ স্থগিত রেখে তাকে মুক্তি দেয়া হবে। ফৌজদারি দণ্ডবিধি ধারা-১০১ এবং উপধারা-০১ মোতাবেক আগামী ৬ মাসের জন্য বেগম খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
তবে এই সময়ের মধ্যে তিনি বিদেশে যেতে পারবেন না। দেশে থেকেই সব ধরনের চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করতে হবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সুপারিশ গ্রহণ করলেই যেকোনো সময় তিনি মুক্তি পাবেন, যোগ করেন আনিসুল হক।
মন্ত্রী বলেন, আগামী ৬ মাস খালেদা জিয়ার সব দণ্ডাদেশ স্থগিত থাকবে। পরবর্তীতে এই মেয়াদ বাড়বে কিনা তা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। আপাতত তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না এবং বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে পারবেন।
এদিকে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম আজ বুধবার সতর্ক করে বলেছেন, শর্ত ভাঙলে খালেদা জিয়ার মুক্তি বাতিল হতে পারে।
No comments:
Post a Comment