চীনের হুবেই প্রদেশে প্রাদুর্ভাব হওয়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) এখন বিশ্বের ১৯৯টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বজুড়ে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ২৭ হাজার ৩৭০ জন। সংক্রমিত হয়েছেন ৫ লাখ ৯৭ হাজার ৪৫৮ জন। এর মধ্যে চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১ লাখ ৩৩ হাজার ৩৭৩ জন।
এখন পর্যন্ত প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে সবচেয়ে বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত সংক্রমিত হয়েছেন ১ লাখ ৪ হাজার ২৫৬ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ১ হাজার ৭০৪ জন এবং আরো ২ হাজার ৪৬৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ ছাড়া আক্রান্তদের মধ্যে চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়েছেন ২ হাজা ৫২৫ জন। প্রতিদিন সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। ফলে রোগীদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতালের ডাক্তাররা।
এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছে ইউরোপের দেশ ইতালিতে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৯ হাজার ১৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। সংক্রমিত হয়েছেন ৮৬ হাজার ৪৯৮ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ১০ হাজার ৯৫০ জন। যুক্তরাষ্ট্রের পর সবচেয়ে বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে এ দেশে।
করোনাভাইরাসের উৎপত্তিস্থল চীনে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৩ হাজার ২৯৫ জন। সংক্রমিত হয়েছেন মোট ৮১ হাজার ৩৯৪ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ৭৪ হাজার ৯৭১ জন। আক্রান্তের দিক দিয়ে চীন তৃতীয় স্থানে থাকলেও সবচেয়ে বেশি মানুষ সুস্থ হয়েছে এ দেশিটিতেই।
এ ছাড়া স্পেনে কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৫ হাজার ৭১৯ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ৫ হাজার ১৩৮ জন। সুস্থ হয়েছেন ৯ হাজার ৩৫৭ জন। জার্মানিতে ৫০ হাজার ৮৭১ জন আক্রান্ত, মারা গেছেন ৩৫১ জন, সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৬ হাজার ৬৫৮ জন। ফ্রান্সে আক্রান্ত হয়েছেন ৩২ হাজার ৯৬৪ জন। এর মধ্যে মারা গেছে ১ হাজার ৯৯৫ জন এবং সুস্থ হয়েছে ৫ হাজার ৭০০ জন। ইরান, যুক্তরাজ্যের মতো দেশগুলোতেও প্রতিদিন বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা।
গত বছরের ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম প্রাদুর্ভাব হয় প্রাণঘাতী এ ভাইরাসের। এরপর তা সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এখন পর্যন্ত ৪৮ জন সংক্রমিত হয়েছেন। এর মধ্যে মারা গেছেন ৫ জন এবং চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন মোট ১৫ জন।
আজ শনিবার সকালে অনলাইনে করোনা নিয়ে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)।
No comments:
Post a Comment