প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের কারণে স্কটল্যান্ডে ব্যাপক মৃত্যুর ঘটনা ঘটলে সৎকারকর্মীরা চাপ নিতে হিমশিম খেতে পারেন। সেই অবস্থা মোকাবেলা করতে আগে থেকেই প্রস্তুতি নিচ্ছে দেশটি। যার অংশ হিসেবে কর্তৃপক্ষ গণকবর তৈরির প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে। খবর দ্য ন্যাশনাল।
স্কটিশ দৈনকটি বলছে, দেশটির হুড্ডারসফিল্ড ইউনিভার্সিটির বিশেষজ্ঞদের মতে, স্কটল্যান্ডে করোনায় আক্রান্ত হয়ে যদি মোট জনসংখ্যার এক শতাংশ মানুষও মারা যায়, তাহলে সৎকারকর্মীরা চাপ সামলাতে পারবেন না।
তারা আরো বলেন, মৃতের সংখ্যা বাড়তে শুরু করলে সৎকারকর্মীদের সংখ্যাও উল্লেখযোগ্য হারে কমে যাবে, এর অন্যতম কারণ, ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে যারা মারা যাবেন তাদের মাধ্যমে সৎকারকর্মীদের আক্রান্ত হওয়ার যথেষ্ট সুযোগ আছে। তাছাড়া লকডাউন ঘোষণা হলে অনেকে কাজে না এসে ছুটি কাটাবেন।
শুধু যে সৎকারকর্মী কমে যাওয়ার কারণে সংকট সৃষ্টি হবে এমনও না, আরো অনেক কারণ আছে। যার মধ্যে অন্যতম, কবরের জন্য পর্যাপ্ত স্থানের অভাব। তাই হুড্ডারসফিল্ড ইউনিভার্সিটির বিশেষজ্ঞরা গণকবরের পরামর্শ দিয়েছেন।
তারা বলেন, এ সিদ্ধান্ত নেয়া দুঃখজনক। অনেকে এর ফলে দুঃখ এবং ক্ষোভ ঝারবেন সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীদের ওপর। কিন্তু সংকট মোকাবেলায় এটিই সবচেয়ে ভালো পদক্ষেপ হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
দ্য ন্যাশনাল বলছে, স্কটিশ সরকার ইতোমধ্যে বার্মিংহাম এয়ারপোর্ট এলাকায় ১২ হাজার মানুষকে গণকবর দেওয়ার মতো একটি স্থান প্রস্তুত করে রেখেছে। সেখানে করোনাভাইরাস মোকাবেলার জন্য একটি অস্থায়ী হাসপাতালও নির্মাণ হতে পারে বলে জানা গেছে।
স্থানীয়ভাবে দেশটিতে সাধারণত প্রতি সপ্তাহে ১২০ জনের দেহ সৎকার করা হয়। এ ছাড়া একদিনে সর্বোচ্চ ৬০ জনকে ডেড সার্টিফিকেট দেয়ার রেকর্ড আছে। কিন্তু করোনার কারণে মৃতের সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে দেশটিতে।
স্কটল্যান্ডে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এক হাজার ৫৯ জন। মৃত্যু হয়েছে ৩৩ জনের।
No comments:
Post a Comment