গত বছরের ডিসেম্বরে চীনে প্রথম শনাক্তের পর ধীরে ধীরে বিশ্বের ১৯৯টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯)। এতে এখন পর্যন্ত গোটা বিশ্বে ৩১ হাজার ৯১৪ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। সংক্রমিত হয়েছেন ৬ লাখ ৮০ হাজার ৫৮৩ জন। এর মধ্যে চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ১ লাখ ৪৬ হাজার ৩৬৬ জন। সংক্রমিত হওয়ার আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে গোটা বিশ্বের মানুষ।
কিন্তু কে প্রথম প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন বা বর্তমানে তিনি কেমন আছেন তা কি জানেন আপনি? সম্প্রতি এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।
প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে ওয়েই গুইশিয়ান (৫৭) নামের এক নারী প্রথম করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হন। তিনি সেখানকার একটি সামুদ্রিক মাছের বাজারে চিংড়ি মাছ বিক্রি করতেন। গত বছরের ১০ ডিসেম্বর তার শরীরে প্রথম করোনা উপসর্গ দেখা দেয়।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, প্রথমে সাধারণ ফ্লুর মতো উপসর্গ হওয়ায় তিনি চিকিৎসার জন্য স্থানীয় একটি হাসপাতালে যান। কিন্তু সেখানে তার অবস্থার কোনো উন্নতি না হওয়ায় আরো দুর্বল হয়ে পড়েন তিনি। পরে স্থানীয় আরেকটি বড় হাসপাতালে গেলে চিকিৎসকরা তার শরীরে নতুন এক ভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত করতে পারেন। এই ভাইরাসটিই এখন বিশ্বজুড়ে কোভিড-১৯ নামে পরিচিত। ওই হাসপাতালেই মাসখানেক চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে উঠেন ওয়েই। বর্তমানে তিনি সুস্থ আছেন।
ওয়েইয়ের দাবি, চীন সরকারের ব্যর্থতার জন্যই ভাইরাসটি মহামারিতে পরিণত হয়। দেশটির সরকার যদি প্রথমেই এটিকে গুরুত্ব দিত, তাহলে ভাইরাসটি চীনসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মহামারির মতো ছড়িয়ে পড়তো না।
প্রাণঘাতী এ ভাইরাস প্রথম চীনের হুবেই প্রদেশে দাপট দেখালেও ধীরে ধীরে তা গোটা চীনসহ সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। চীনে বর্তমানে এর দাপট কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেও বিশ্বে দেশে ঝড়ছে প্রাণ। তবে সবচেয়ে আতঙ্কের বিষয় হলো- প্রাদুর্ভাবের প্রায় তিন মাস পেরিয়ে গেলেও বিজ্ঞানীরা এখনো এ প্রতিষেধক আবিষ্কার করতে পারেননি। এমনকি ভাইরাসটির উৎপত্তি ও চরিত্র সম্পর্কেও খুব বেশি তথ্য জানা নেই তাদের।
বিজ্ঞানীদের একাংশের দাবি, চীন জৈবিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করার জন্যই ভাইরাসটিকে তৈরি করেছে। এটি প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট কোনো ভাইরাস নয়।
No comments:
Post a Comment