গত বছরের ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর পর তা আস্তে আস্তে প্রায় দুই শ দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী মরণঘাতী ভাইরাসটির সংক্রমণে বিশ্বে ২১ হাজার ৩০৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া আক্রান্ত হয়েছে ৪ লাখ ৭২ হাজার ৮৮২ জন। এর মধ্যে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছে প্রায় সোয়া লাখ।
তবে চীনে ভাইরাসটির উদ্ভব হলেও এখন সেটি তাণ্ডব চালাচ্ছে ইউরোপে। এই মুহূর্তে মৃতের দিক থেকে সবার ওপরে রয়েছে ইতালি। সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী দেশটিতে ৭ হাজার ৫০৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া আক্রান্ত হয়েছে ৭৪ হাজার ৩৮৬ জন। সেইসঙ্গে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছে ৯ হাজার ৩৬২ জন।
ইতালির বিপুল সংখ্যক এই মানুষের চিকিৎসা সেবা দিতে গিয়ে অনেক চিকিৎসক সেবা দিতে গিয়ে অনেক চিকিৎসক ও নার্স আক্রান্ত এবং তাদের একটা বড় অংশ মারাও গেছেন।
আক্রান্তদের চিকিৎসা দিতে গিয়ে ইতালির চিকিৎসকরা হিমশিম খাচ্ছেন এবং নানা কষ্টের মধ্যে আছেন- এ নিয়ে বহু প্রতিবেদনও প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো।
কিন্তু গতকাল বুধবার বিট্রিশ গণমাধ্যম ডেইলি মেইল এক মর্মান্তিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
দেশটির নার্সিং ফেডারেশনের বরাত দিয়ে এতে বলা হয়, করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার পর সেটি যাতে অন্যদের মাঝে ছড়িয়ে না পড়ে সেজন্য আত্মহত্যা করেছেন ইতালির ওই নার্স। ৩৪ বছর বয়সী ওই নার্সের নাম ডেনিয়েলা ট্রেজি।
খবরে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসে চীনে যেমন সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে উহানে। তেমনি ইতালির সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা লোম্বার্দি। এই অঞ্চলের একটি হাসপাতালেই করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে সেবা দিয়ে আসছিলেন ট্রেজি।
No comments:
Post a Comment