বাংলায় নবাবী শাসন
প্রশ্ন: বাংলায় নবাবী
শাসনের প্রতিষ্ঠাতা কে?
উত্তর: মুর্শিদকুলী খান।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের প্রথম
স্বাধীন নবাব কে?
উত্তর: মুর্শিদকুলী খান।
প্রশ্ন: বাংলার শেষ স্বাধীন
নবাব কে ছিলেন?
উত্তর: সিরাজউদ্দৌলা।
মুর্শিদকুলী খান
প্রশ্ন: মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেব
কর্তৃক নিযুক্ত বাংলার শেষ দীউয়ান ছিলেন কে?
উত্তর: মুর্শিদকুলী খান।
প্রশ্ন: মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেব
কবে মুর্শিদকুলী খানতে ‘করতলব খান’ উপাধি দিয়ে বাংলায় দীউয়ান নিযুক্ত করেন?
উত্তর: ১৭০০ সালে।
প্রশ্ন: কত সালে তিনি
‘মুর্শিদকুলী খান’ উপাধি লাভ করেন?
উত্তর: ১৭০৩ সালে।
প্রশ্ন: কে কখন মকসুদাবাদের
নাম পরিবর্তন করে মুর্শিদাবাদ রাখেন?
উত্তর: সম্রাট আওরঙ্গজেব;
১৭০৪ সালে (মুর্শিদকুলী খানের নামে)।
প্রশ্ন: কখন মুর্শিদকুলী
খান বাংলার নাজিম পদে উন্নীত হন?
উত্তর: ১৭১৬ সালে।
প্রশ্ন: কে, কবে প্রাদেশিক
রাজধানী ঢাকা থেকে মুর্শিদাবাদে স্থানান্তর করেন?
উত্তর: মুর্শিদকুলী খান;
১৭১৭ সালে।
প্রশ্ন: মুর্শিদকুলী প্রবর্তিত
রাজস্ব ব্যবস্থার নাম কি?
উত্তর: মাল জমিনী।
প্রশ্ন: মুর্শিদকুলী খান
কাকে তাঁর উত্তরাধিকারী মনোনীত করে যান?
উত্তর: তার দৌহিত্র সরফরাজ
খান।
প্রশ্ন: মুর্শিদকুলী খান
কবে মৃত্যুবরণ করেন?
উত্তর: ৩০ জুন ১৭২৭।
সুজাউদ্দীন মুহম্মদ খান
প্রশ্ন: সুজাউদ্দীন কে
ছিলেন?
উত্তর: মুর্শিদকুলী খানের
জামাতা। তিনি ছিলেন তুর্কি বংশোদ্ভুত।
প্রশ্ন: সুজাউদ্দীন কবে,
কার সহায়তায় বাংলার নবাব হন?
উত্তর: ১৭২৭ সালে; মির্জা
মুহম্মদ আলী।
প্রশ্ন: সুজাউদ্দীনের
মৃত্যু হলে কে, কবে বাংলার নবাব হন?
উত্তর: তার পুত্র সরফরাজ;
১৩ মার্চ ১৭৩৯।
আলীবর্দী খান
প্রশ্ন: আলীবর্দী খান
কে ছিলেন?
উত্তর: বাংলা, বিহার ও
উড়িষ্যার নবাব। আরব বংশোদ্ভুত মির্জা মহম্মদের পুত্র।
প্রশ্ন: আলীবর্দী খানের
প্রকৃত নাম কি?
উত্তর: মির্জা মুহম্মদ
আলী।
প্রশ্ন: আলীবর্দী খান
কবে বাংলায় আসেন?
উত্তর: ১৭২০ সালে।
প্রশ্ন: নবাব সুজাউদ্দীন
কবে মির্জা মুহম্মদ আলীকে আকবরনগর (রাজমহল) চাকলার (প্রশাসনিক বিভাগ) ফৌজদার নিয়োগ
করেন?
উত্তর: ১৭২৮ সালে।
প্রশ্ন: মির্জা মুহম্মদ
আলীকে নবাব সুজাউদ্দীন কি উপাধিতে ভূষিত করেন?
উত্তর: আলীবর্দী (১৭২৮
সালে)।
প্রশ্ন: কে, কবে বিহারকে
বাংলার সুবাহর সাথে একীভূত করেন?
উত্তর: সম্রাট মুহম্মদ
শাহ, ১৭৩২ সালে।
প্রশ্ন: সুজাউদ্দীন কবে
আলীবর্দীকে বিহারের শাসনভার অর্পন করেন?
উত্তর: ১৭৩৩ সালে।
প্রশ্ন: সুজাউদ্দীন কবে
আলীবর্দীকে ‘মহব্বত জং’ উপাধি দেন?
উত্তর: ১৭৩৪ সালে।
প্রশ্ন: আলীবর্দী কাকে,
কোন যুদ্ধে পরাজিত করে বাংলার নবাব হন?
উত্তর: সরফরাজকে; ১০ এপ্রিল
১৭৪০ এর গিয়াতের যুদ্ধে।
প্রশ্ন: আলীবর্দী খান
কবে বাংলার নবাব হিসেবে বাদশাহ মুহম্মদ শাহের স্বীকৃতি লাভ করেন?
উত্তর: এপ্রিল ১৭৪০।
প্রশ্ন: তিনি কবে সমগ্র
বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেন?
উত্তর: ১৭৪১ সালে।
প্রশ্ন: তার সময়ে প্রথম
মারাঠা আক্রমণ সংঘটিত হয় কবে?
উত্তর: ১৭৪২ সালে।
প্রশ্ন: কবে মারাঠাদের
সাথে নাগপুর শান্তি চুক্তি করেন?
উত্তর: ১৭৫১ সালে।
প্রশ্ন: আলীবর্দীর সময়ে
বাংলার রাজধানী কোথায় ছিল?
উত্তর: মুর্শিদাবাদ।
প্রশ্ন: ঘসেটি বেগম কে
ছিলেন?
উত্তর: নবাব আলীবর্দী
খানের জ্যেষ্ঠ কন্যা (তার আসল আম মেহেরুন্নেসা)।
প্রশ্ন: আলীবর্দী খানের
সর্বকনিষ্ঠ কন্যার নাম কি?
উত্তর: আমিনা বেগম।
প্রশ্ন: তিনি কবে মৃত্যুবরণ
করেন?
উত্তর: ১০ এপ্রিল ১৭৫৬।
সিরাজউদ্দৌলা ও পলাশীর
যুদ্ধ
প্রশ্ন: সিরাজউদ্দৌলার
জন্ম কবে?
উত্তর: ১৭৩৩ সালে (মৃত্যু
৩ জুলাই ১৭৫৭)।
প্রশ্ন: সিরাজউদ্দৌলার
পুরো নাম কি?
উত্তর: মির্জা মুহম্মদ
সিরাজউদ্দৌলা।
প্রশ্ন: সিরাজউদ্দৌলা
কার দৌহিত্র ছিলেন?
উত্তর: নবাব আলীবর্দী
খান (সিরাজউদ্দৌলার পিতা জয়েনউদ্দিন আহমদ খান ও মাতা আমিনা বেগম)।
প্রশ্ন: নবাব আলীবর্দী
খান কবে সিরাজউদ্দৌলাকে তার উত্তরাধিকারী ঘোষণা করেন?
উত্তর: ১৭৫২ সালের মে
মাসে।
প্রশ্ন: সিরাজউদ্দৌলা
কত বছর বয়সে ক্ষমতাসীন হন?
উত্তর: ২২ বছর।
প্রশ্ন: ইংরেজদেরকে বিতারিড়ত
করে সিরাজউদ্দৌলা কলকাতার কি নাম দেন?
উত্তর: আলীনগর।
প্রশ্ন: অন্ধকূপ হত্যা
কি?
উত্তর: ২০ জুন ১৭৫৬ নবাব
সিরাজউদ্দৌলা কর্তৃক কলকাতা দখলের সময় ইংরেজ সেনাপতি জে জেড হলওয়েলের রচিত কল্পকাহিনী।
এতে বলা হয়, ১৮ ফুট দৈর্ঘ্য, ১৪.১০ ফুট প্রস্থ ছোট একটি ঘরে ১৪৬ জন ইংরেজকে বন্দি করে
রাখা হয়। এতে প্রচণ্ড গরমে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে ১২৩ জনের মৃত্যু হয়। কল্পকাহিনীতে প্রভাবান্বিত
হয়ে ক্লাইভ ওয়াটসন কলকাতা দখল করে। ফলে সিরাজউদ্দৌলা ইংরেজদের সাথে আলীনগর সন্ধি করতে
বাধ্য হন।
প্রশ্ন: সিরাজউদ্দৌলার
কবর কোথায় অবস্থিত?
উত্তর: মুর্শিদাবাদের
নিকট খোশনগরে।
প্রশ্ন: পলাশীর প্রান্তর
কোন নদীর তীরে অবস্থিত?
উত্তর: ভাগীরথী নদীর তীরে।
প্রশ্ন: পলাশীর যুদ্ধ
হয়েছিল কবে?
উত্তর: ২৩ জুন ১৭৫৭।
প্রশ্ন: পলাশীর যুদ্ধ
সংঘটিত হয় কাদের মধ্যে?
উত্তর: নবাব সিরাজউদ্দৌলা
এবং ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি।
প্রশ্ন: পলাশী যুদ্ধের
ফলাফল কি?
উত্তর: প্রধান সেনাপতি
মীর জাফর আলী খানের বিশ্বাসঘাতকতায় সিরাজউদ্দৌলা পরাজিত হন।
মীর জাফর – মীর কাসিম
– নাজিম উদ্দৌলা
প্রশ্ন: সিরাজউদ্দৌলার
প্রধান সেনাপতির নাম কি ছিল?
উত্তর: মীর জাফর আলী খান।
প্রশ্ন: মীরজাফর আলী খানকে
বাংলায় নবাব পদে বসানো নিয়ে গোপন চুক্তি হয় কবে?
উত্তর: ১ মে ১৭৫৭ (৫ জুন
১৭৫৭ মীর জাফর চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন)।
প্রশ্ন: বক্সারের যুদ্ধ
সংঘটিত হয় কবে?
উত্তর: ২২ অক্টোবর ১৭৬৪।
প্রশ্ন: বক্সারের যুদ্ধ
কাদের মধ্যে সংঘটিত হয় এবং এর ফলাফল কি?
উত্তর: মুঘল সম্রাট দ্বিতীয়
শাহ আলম, অযোধ্যার নবাব সুজাউদ্দৌলা ও মীর কাসিমের সম্মিলিত বাহিনীর সাথে ইংরেজ সৈন্যদের
যুদ্ধ হয় বক্সার নামক স্থানে। যুদ্ধে ইংরেজরা জয়লাভ করে।
প্রশ্ন: ১৭৬৩ সালে গিরিয়া
কাটোয়া, উদয়নালার যুদ্ধে কে, কাকে পরাজিত করে?
উত্তর: ইংরেজ সেনাপতি
মেজর হেক্টর মুনরো মীর কাসিমকে।
প্রশ্ন: মীর কাসিম কবে
মৃত্যুবরণ করেন?
উত্তর: ১৭৭৭ সালে।
প্রশ্ন: নবাব হয়েই মীর
কাসিম কোন তিনটি জেলা ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিকে দান করেন?
উত্তর: বর্ধমান, মেদিনীপুর
ও চট্টগ্রাম জেলা।
প্রশ্ন: তিনি বাংলার রাজধানী
মুর্শিদাবাদ থেকে কোথায় স্থানান্তর করেন?
উত্তর: মুঙ্গেরে।
প্রশ্ন: মীরজাফরের মৃত্যুর
পর কে বাংলার নবাব হন?
উত্তর: তার পুত্র নাজিমুদ্দিন
আলী খান (৫ ফেব্রুয়ারি ১৭৬৫)।
No comments:
Post a Comment