Showing posts with label বাংলাদেশ. Show all posts
Showing posts with label বাংলাদেশ. Show all posts

Friday, January 11, 2019

বাংলাদেশের নদ-নদী (প্রথম পর্ব)

বাংলাদেশের নদ-নদী


প্রশ্ন: নদী কাকে বলে?
উত্তর: পাহাড়, হ্রদ, প্রস্রবণ প্রভৃতি উচ্চ ভূমিতে সৃষ্ট ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র স্রোতধারার মিলিত প্রবাহ নির্দিষ্ট প্রাকৃতিক খাত দিয়ে প্রবাহিত হয়ে যখন অপর কোনো জলাশয়, হ্রদ বা সাগরে মিলিত হয় তখন ঐ প্রবাহকে নদী বলা হয়?

প্রশ্ন: নদীর বিজ্ঞানসম্মত বিদ্যাকে কি বলে?
উত্তর: পোটোমলোজি (Potamology)।

প্রশ্ন: নদী প্রণালী বা নদী ব্যবস্থা গঠিত হয় কিভাবে?
উত্তর: একটি নদী ও তার উপনদীসমূহ একত্রে মিলে।

প্রশ্ন: মোহনা কাকে বলে?
উত্তর: নদী যে স্থানে সমুদ্রে বা হ্রদে মিলিত হয়।

প্রশ্ন: উপনদী কাকে বলে?
উত্তর: নদীর চলার পথে যখন ছোট ছোট অন্যান্য নদী বা জলধারা এসে মিলিত হয় তখন তাকে উপনদী বলে?

প্রশ্ন: বাংলাদেশের নদীনালাকে কতটি নদীপ্রণালী বা নদী ব্যবস্থায় বিভক্ত করা হয়েছে?
উত্তর: চারটি (১. ব্রহ্মপুত্র-যমুনা, ২. গঙ্গা-পদ্মা, ৩. সুরমা-মেঘনা ও ৪. চট্টগ্রাম অঞ্চলের নদীসমূহ)।

প্রশ্ন: বাংলাদেশের দীর্ঘতম নদীপ্রণালী কোনটি?
উত্তর: সুরমা-মেঘনা নদী প্রণালী (দৈর্ঘ্য ৬৬৯ কিমি)।

প্রশ্ন: বাংলাদেশের নদ-নদীর মোট দৈর্ঘ্য কত?
উত্তর: ২৪,১৪০ কিমি (প্রায়) [সূত্র: বাংলাপিডিয়া]।

প্রশ্ন: বাংলাদেশের নদ-নদীর সংখ্যা কত?
উত্তর: ৩১০টি [সূত্র: বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড ও বাংলাদেশ পকেট পরিসংখ্যান বই ২০১৩]।

প্রশ্ন: বাংলাদেশের ক্ষুদ্রতম নদীর নাম কি?
উত্তর: গোবরা (দৈর্ঘ্য ৪ কিমি)।

প্রশ্ন: বাংলাদেশের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র কোথায়?
উত্তর: হালদা নদী (চট্টগ্রাম)।

প্রশ্ন: বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য নদ কি কি?
উত্তর: কপোতাক্ষ নদ, ব্রহ্মপুত্র নদ ও আড়িয়াল খাঁ নদ প্রভৃতি।

প্রশ্ন: বাংলাদেশের প্রধান ও বৃহত্তম নদীবন্দর কোনটি?
উত্তর: নারায়ণগঞ্জ।


আন্তঃসীমান্ত বা অভিন্ন নদী

প্রশ্ন: প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে বাংলাদেশের কতটি আন্তঃসীমান্ত বা অভিন্ন নদী রয়েছে?
উত্তর: ৫৭টি [যৌথ নদী কমিশন], ৫৮টি [বাংলাপিডিয়া]।

প্রশ্ন: বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে প্রবাহিত আন্তঃসীমান্ত নদী কতটি?
উত্তর: ৫৪টি [যৌথ নদী কমিশন], ৫৫টি [বাংলাপিডিয়া]।

প্রশ্ন: আন্তঃসীমান্ত নদীর মধ্যে কোনটি ভুটান, ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত?
উত্তর: দুধকুমার।

প্রশ্ন: মিয়ানমার ও বাংলাদেশের মধ্যে প্রবাহিত নদী কতটি?
উত্তর: ৩টি (সাঙ্গু, মাতামুহুরী ও নাফ)।

প্রশ্ন: ভারত, চীন এবং বাংলাদেশের মধ্যে প্রবাহিত নদের নাম কি?
উত্তর: ব্রহ্মপুত্র।

প্রশ্ন: নেপাল, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে প্রবাহিত নদীর নাম কি?
উত্তর: গঙ্গা।

প্রশ্ন: বাংলাদেশ থেকে ভারতে গিয়ে পুনরায় বাংলাদেশে ফিরে এসেছে কোন্ কোন্ নদী?
উত্তর: পুনর্ভবা, আত্রাই প্রভৃতি।

প্রশ্ন: বাংলাদেশ ও ভারতের সীমানা নির্ধারণকারী নদীর নাম কি?
উত্তর: হাড়িয়াভাঙা নদী।


যৌথ নদী কমিশন বাংলাদেশ

প্রশ্ন: পানি সম্পর্কিত বাংলাদেশ-ভারতের দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য গঠিত কমিশনের নাম কি?
উত্তর: যৌথ নদী কমিশন বাংলাদেশ (JRCB)।

প্রশ্ন: বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে কবে যৌথ নদী কমিশন গঠিত হয়?
উত্তর: ১৯৭২ সালে।

প্রশ্ন: JRCB – এর পূর্ণরূপ কি?
উত্তর: Joint Rivers Commission Bangladesh.

প্রশ্ন: যৌথ নদী কমিশন বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য কি?
উত্তর: বন্যা নিয়ন্ত্রণে দুদেশের মধ্যে সহযোগিতা ও নদীগুলোর নাব্যতা বৃদ্ধি।


জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন

প্রশ্ন: জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন গঠিত হয় কবে?
উত্তর: ৩ আগস্ট ২০১৪।

প্রশ্ন: জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন-এর কার্যক্রম শুরু হয় কবে?
উত্তর: ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪।

প্রশ্ন: জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের কার্যালয় কোথায়?
উত্তর: ঢাকা।

Thursday, January 10, 2019

বাংলাদেশের দ্বীপ

বাংলাদেশের দ্বীপ



প্রশ্ন: বিশ্বের বৃহত্তম ব-দ্বীপ কোনটি?
উত্তর: বাংলাদেশ।

প্রশ্ন: বাংলাদেশের বৃহত্তম দ্বীপের নাম কি?
উত্তর: ভোলা।

প্রশ্ন: বাংলাদেশের একমাত্র দ্বীপ জেলা কোনটি?
উত্তর: ভোলা।

প্রশ্ন: ‘শাহবাজপুর দ্বীপ’ বর্তমানে কি নামে পরিচিত?
উত্তর: ভোলা।

প্রশ্ন: বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য ‘দ্বীপ উপজেলা’ কি কি?
উত্তর: মহেশখালী (কক্সবাজার), কুতুবদিয়া (কক্সবাজার), হাতিয়া (নোয়াখালী), সন্দ্বীপ (চট্টগ্রাম), মনপুরা (ভোলা), রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) প্রভৃতি।

প্রশ্ন: বাংলাদেশের বৃহত্তম ব-দ্বীপ কোনটি?
উত্তর: সুন্দরবন।


সেন্টমার্টিন দ্বীপ
সেন্টমার্টিন দ্বীপ

প্রশ্ন: সেন্টমার্টিন দ্বীপের ভৌগলিক অবস্থান কি?
উত্তর: ২০.৩৪/ থেকে ২০.৩৯/ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯২.১৮/ থেকে ৯২.২১/ পূর্ব দ্রাঘিমাংশে।

প্রশ্ন: সেন্টমার্টিন দ্বীপে যাওয়ার গেটওয়ে বলা হয় কোনটিকে?
উত্তর: টেকনাফকে।

প্রশ্ন: সেন্টমার্টিন দ্বীপ কোন্ নদীর মুখে অবস্থিত?
উত্তর: নাফ নদী।


ছেঁড়া দ্বীপ
ছেঁড়া দ্বীপ

প্রশ্ন: বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণে কোন্ দ্বীপ বা ভূখণ্ড অবস্থিত?
উত্তর: ছেঁড়া দ্বীপ।

প্রশ্ন: ছেঁড়া দ্বীপের সন্ধান পাওয়া যায় কোন্ সালে?
উত্তর: ২০০০ সালে।


কুতুবদিয়া দ্বীপ
কুতুবদিয়া দ্বীপ

প্রশ্ন: কুতুবদিয়া দ্বীপ কোথায় অবস্থিত?
উত্তর: কক্সবাজার।

প্রশ্ন: কোন্ দ্বীপে বাতিঘর আছে?
উত্তর: কুতুবদিয়া।

প্রশ্ন: কুতুবদিয়ায় কবে বাতিঘর নির্মাণ করা হয়?
উত্তর: ১৮৪৬ সালে (কুতুবদিয়ার দক্ষিণ ধুরং ইউনিয়নে)।

প্রশ্ন: কুতুবদিয়ায় বাতিঘরের স্থপতি কে?
উত্তর: নেয়ার বার্মিংহাম।


নিঝুম দ্বীপ
নিঝুম দ্বীপ

প্রশ্ন: নিঝুম দ্বীপের পুরনো নাম কি?
উত্তর: বাইল্যা চর বা চর ওসমান বা ইছামতি দ্বীপ।

প্রশ্ন: নিঝুম দ্বীপের বর্তমান আয়তন কত?
উত্তর: প্রায় ১৪,০৫০ একর বা ২১.৯৫ বর্গমাইল বা ৫৬.৮৫৮ বর্গকিমি। [সূত্র: বাংলাপিডিয়া]


আরো কিছু দ্বীপ
নোয়াখালী: ভাসান চর, স্বর্ণদ্বীপ, চর কবির ও চর বন্দনা (হাতিয়া), রজনীগন্ধা (সুবর্ণচর), ঠেঙ্গারচর ও জাহাজ্জ্যা চর।

কক্সবাজার: খরাট চর (বাকখালী), জালিয়াপালং চরপাড়া (উখিয়া), জিঞ্জিরা দ্বীপ, মধ্যহ্নীলা, উত্তর হ্নীলা ও শাহপরীর দ্বীপ (টেকনাফ), ধলাঘাট, হাসের চর, কালারমারছড়া, উত্তরনলবিলা, আমাবশ্যাখালী, কুতুবজম, সোনাদিয়া, ঘটিভাঙা ও হামিদরদিয়া (মহেশখালী); কৈয়ার বিল, বড়ঘোপ ও নতুন ঘোনা (কুতুবদিয়া) এবং করিয়ার দিয়া ও দুবাইঘোনা (পেকুয়া)।


কিছু দ্বীপের মোহনা

প্রশ্ন: নিঝুম দ্বীপ কোন্ নদীর মোহনায় অবস্থিত?
উত্তর: মেঘনা।

প্রশ্ন: দক্ষিণ তালপট্টি দ্বীপ কোন্ নদীর মোহনায় অবস্থিত?
উত্তর: হাড়িয়াভাঙ্গা।

প্রশ্ন: সেন্টমার্টিন দ্বীপ কোন্ নদীর মোহনায় অবস্থিত?
উত্তর: নাফ।

প্রশ্ন: মনপুরা দ্বীপ কোন্ নদীর মোহনায় অবস্থিত?
উত্তর: মেঘনা।

Wednesday, January 9, 2019

বাংলাদেশের সাগর সৈকত



বঙ্গোপসাগর

প্রশ্ন: বাংলাদেশের উপকূলবর্তী উপসাগরের নাম কি?
উত্তর: বঙ্গোপসাগর।

প্রশ্ন: বঙ্গোপসাগর কোন্ মহাসাগরের অংশবিশেষ?
উত্তর: ভারত মহাসাগর।

প্রশ্ন: বঙ্গোপসাগরের সীমারেখা কি?
উত্তর: উত্তরে বাংলাদেশ ও ভারত, পশ্চিমে ভারত ও শ্রীলংকা, দক্ষিণে ভারত মহাসাগর এবং পূর্বে মিয়ানমার ও আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ।

প্রশ্ন: বঙ্গোপসাগরের ঠিক দক্ষিণে কোন দ্বীপ?
উত্তর: ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপ।

প্রশ্ন: আন্তর্জাতিক মাপ অনুযায়ী বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণ সীমানার পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্ত কোন্ বিন্দুতে?
উত্তর: পূর্ব প্রান্ত সুমাত্রা দ্বীপের সর্ব উত্তর বিন্দু এবং পশ্চিম প্রান্ত শ্রীলংকার সর্ব দক্ষিণ বিন্দু ডন্ড্রা হেড।

প্রশ্ন: বঙ্গোপসাগরকে আন্দামান সাগর থেকে পৃথক করেছে কোন্ দ্বীপপুঞ্জ?
উত্তর: আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ।

প্রশ্ন: ভৌগলিকভাবে বঙ্গোপসাগরের অবস্থান কি?
উত্তর: ৫ উত্তর ও ২২ দক্ষিণ অক্ষাংশ এবং ৮০ পূর্ব ও ১০০ পূর্ব দ্রাঘিমাংশে অবস্থিত।

প্রশ্ন: বঙ্গোপসাগরা বাংলাদেশের কোন্ উপকূলে অবস্থিত?
উত্তর: দক্ষিণ।

প্রশ্ন: বঙ্গোপসাগরের গড় গভীরতা কত?
উত্তর: ২,৬০০ মিটার বা ২.৬ কিমি।

প্রশ্ন: বঙ্গোপসাগরের সর্বোচ্চ গভীরতা কত?
উত্তর: ৫২৫৮ মিটার (অর্থাৎ ৫.২৫৮ কিমি)।

প্রশ্ন: সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড কি?
উত্তর: বঙ্গোপসাগরের একটি খাদ।


বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা

প্রশ্ন: বাংলাদেশের মোট সমুদ্রসীমা কত?
উত্তর: ১,১৮,৮১৩ বর্গকিমি।

প্রশ্ন: বাংলাদেশ-ভারতের সমুদ্রসীমা নির্ধারণী মামলার রায় হয় কবে?
উত্তর: ৭ জুলাই ২০১৪।

প্রশ্ন: বাংলাদেশ ও ভারতের সমুদ্রসীমা বিরোধ নিষ্পত্তির মামলা হয় কোন্ আদালতে?
উত্তর: স্থায়ী সালিশি আদালত (নেদারল্যান্ডস)।

প্রশ্ন: বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে বিরোধপূর্ণ সমুদ্রসীমার মধ্যে কত বর্গকিমি বাংলাদেশ লাভ করে?
উত্তর: ১৯,৪৬৭ বর্গকিমি।

প্রশ্ন: বাংলাদেশ-মিয়ানমারের সমুদ্রসীমা নির্ধারণী মামলার রায় হয় কবে?
উত্তর: ১৪ মার্চ ২০১২।

প্রশ্ন: বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সমুদ্রসীমা বিরোধ নিষ্পত্তির মামলা হয় কোন্ আদালতে?
উত্তর: সমুদ্র আইনবিষয়ক আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল (ITLOS), জার্মানি।


বাংলাদেশের সমুদ্র সৈকত

প্রশ্ন: বিশ্বের  বৃহত্তম সমুদ্র সৈকত কোন্ দেশে অবস্থিত?
উত্তর: বাংলাদেশে।

প্রশ্ন: বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কোনটি?
উত্তর: কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত।

প্রশ্ন: কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের দৈর্ঘ্য কত?
উত্তর: ১২০ কিমি।

প্রশ্ন: ‘সাগর কন্যা’ নামে পরিচিত কোন্ স্থান?
উত্তর: কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত?

প্রশ্ন: কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত কোথায় অবস্থিত?
উত্তর: খেপুপাড়া, পটুয়াখালী।

প্রশ্ন: কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের দৈর্ঘ্য কত?
উত্তর: ১৮ কিলোমিটার (প্রস্থ ৩ কিমি)।

প্রশ্ন: বাংলাদেশের একমাত্র কোন্ সমুদ্র সৈকত থেকে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখা যায়?
উত্তর: কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত?

উত্তর: কক্সবাজারের প্রাচীন নাম কি?
উত্তর: পালংকি (স্থানীয় ভাষায় প্যানোয়া)।

প্রশ্ন: কক্সবাজারের নামকরণ করা হয় কার নামানুসারে?
উত্তর: ক্যাপ্টেন হিরাম কক্স-এর নামে (১৭৯৯ সালে)।

প্রশ্ন: বাংলাদেশের পর্যটন রাজধানী কোনটি?
উত্তর: কক্সবাজার।

Friday, January 4, 2019

বাংলাদেশের জাতীয় বিষয়াবলি (প্রথম পর্ব)


জাতীয় প্রতীক
জাতীয় প্রতীক

প্রশ্ন: বাংলাদেশের জাতীয় প্রতীক কিরূপ?
উত্তর: উভয় পার্শ্বে ধানের শীষ বেষ্টিত পানিতে ভাসমান জাতীয় ফুল শাপলা, তার শীর্ষদেশে পাটগাছের তিনটি পরস্পরযুক্ত পাতা, তার উভয় পার্শ্বে দুটি করে তারকা।

প্রশ্ন: জাতীয় প্রতীক মন্ত্রিপরিষদ সভায় অনুমোদন লাভ করে কবে?
উত্তর: ২৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৭২।

প্রশ্ন: বাংলাদেশের জাতীয় প্রতীকের ডিজাইনার কে?
উত্তর: কামরুল হাসান।

প্রশ্ন: জাতীয় প্রতীক সম্পর্কে সংবিধানের কত অনুচ্ছেদে বর্ণনা আছে?
উত্তর: ৪(৩) অনুচ্ছেদে।

প্রশ্ন: জাতীয় প্রতীক ব্যবহারের অধিকারী কে কে?
উত্তর: রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী।

প্রশ্ন: জাতীয় প্রতীকের চারটি তারকা দিয়ে কি বোঝানো হয়েছে?
উত্তর: গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের চার মূলনীতি।


জাতীয় মনোগ্রাম
জাতীয় মনোগ্রাম

প্রশ্ন: বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় মনোগ্রাম কি?
উত্তর: লাল রঙের বৃত্তের মাঝে হলুদ রঙের বাংলাদেশের মানচিত্র। বৃত্তের ওপর দিকে লেখা ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ’, নিচে লেখা ‘সরকার’ এবং বৃত্তের দুপাশে দুটি করে মোট ৪টি তারকা।

প্রশ্ন: বাংলাদেশের মনোগ্রাম কোন্ কোন্ ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়?
উত্তর: সরকারি অফিস, নথি, স্মারক, চিঠিপত্র ও বিজ্ঞপ্তিতে।

প্রশ্ন: বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় মনোগ্রামের ডিজাইনার কে?
উত্তর: এ. এন. সাহা।


জাতীয় পতাকা
জাতীয় পতাকা

প্রশ্ন: বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার রূপকার কে?
উত্তর: চিত্রশিল্পী কামরুল হাসান।

প্রশ্ন: জাতীয় পতাকার নকশা প্রথম কে তৈরি করেন?
উত্তর: শিব নারায়ণ দাস (৬ জুন ১৯৭০)।

প্রশ্ন: জাতীয় পতাকা থেকে মানচিত্র বাদ দেয়া সংক্রান্ত অধ্যাদেশ জারি হয় কখন?
উত্তর: ৪ জানুয়ারি ১৯৭২।

প্রশ্ন: বাংলাদেশের বর্তমান জাতীয় পতাকা কবে গৃহীত হয়?
উত্তর: ১৭ জানুয়ারি ১৯৭২।

প্রশ্ন: সংবিধানের ৪(২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার রং কি?
উত্তর: সবুজ ক্ষেত্রের উপর স্থাপিত রক্তবর্ণের একটি ভরাট বৃত্ত।

প্রশ্ন: বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা প্রথম উত্তোলন করা হয় কবে?
উত্তর: ২ মার্চ ১৯৭১।

প্রশ্ন: বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা প্রথম কোথায় উত্তোলন করা হয়?
উত্তর: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় এক ছাত্র সভায়।

প্রশ্ন: কে প্রথম বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেছিলেন?
উত্তর: তৎকালীন ডাকসু ভিপি আ স ম আব্দুর রব।

প্রশ্ন: ‘আমার সোনার বাংলা’ প্রথম গাওয়ার সাথে জাতীয় পতাকা কবে ও কোথায় উত্তোলন করা হয়?
উত্তর: ৩ মার্চ ১৯৭১; পল্টন (ঢাকা)।

প্রশ্ন: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কোথায় প্রথম বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন?
উত্তর: ঢাকার ধানমন্ডিস্থ নিজ বাসভবনে; ২৩ মার্চ ১৯৭১ (উল্লেখ্য, একই দিনে বাংলাদেশের সর্বত্র পতাকা উত্তোলন করা হয়)।

প্রশ্ন: জাতীয় পতাকা সর্বপ্রথম কবে আনুষ্ঠানিকভাবে উত্তোলন করা হয়?
উত্তর: ২৩ মার্চ ১৯৭১।

প্রশ্ন: বাংলাদেশের বাইরে কোথায় সর্বপ্রথম বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়?
উত্তর: কলকাতাস্থ পাকিস্তানের ডেপুটি হাইকমিশনে।

প্রশ্ন: কলকাতাস্থ হাইকমিশনে কে, কবে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন?
উত্তর: ১৮ এপ্রিল ১৯৭১ কলকাতাস্থ পাকিস্তানের ডেপুটি হাইকমিশনারের প্রধান এম. হোসেন আলী।

প্রশ্ন: প্রথম দিকে বাংলাদেশের পতাকায় লাল বৃত্তের মধ্যে কিসের প্রতীক ছিল?
উত্তর: সোনালি রঙের বাংলাদেশের মানচিত্র।

প্রশ্ন: জাতীয় পতাকার রং কতটি?
উত্তর: দুটি (লাল ও সবুজ)।

প্রশ্ন: জাতীয় পতাকার রং এবং বৃত্তের তাৎপর্য কি?
উত্তর: লাল রঙের ভরাট বৃত্তটি রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মাধ্যমে ছিনিয়ে আনা স্বাধীনতার নতুন সূর্যের প্রতীক। উজ্জ্বল ঘন সবুজ তারুণ্যের উদ্দীপনা ও বিস্তৃত গ্রামবাংলার প্রতীক।

প্রশ্ন: কোন্ কোন্ দিবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়?
উত্তর: মহানবীর জন্ম দিবস (ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী), স্বাধীনতা দিবস (২৬ মার্চ), বিজয় দিবস (১৬ ডিসেম্বর), সরকার কর্তৃক প্রজ্ঞাপিত অন্য যে কোনো দিবস।

প্রশ্ন: কোন্ কোন্ দিবসে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকে?
উত্তর: শহীদ দিবস (২১ ফেব্রুয়ারি), জাতীয় শোক দিবস (১৫ আগস্ট) এবং সরকার কর্তৃক প্রজ্ঞাপিত অন্য যে কোনো দিবস।

প্রশ্ন: বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের অনুপাত কত?
উত্তর: ১০ : ৬ (৫ : ৩)

প্রশ্ন: বাসভবন, নৌযান, গাড়ি ও বিমানে কে কে জাতীয় পতাকা ব্যবহার করতে পারেন?
উত্তর: রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী।

প্রশ্ন: কোন্ মর্যাদাসম্পন্ন পদে অধিষ্ঠিত ব্যক্তিদের বাসভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়?
উত্তর: রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, জাতীয় সংসদের স্পিকার, বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি, মন্ত্রীবর্গ, চিফ হুইপ, জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার, জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা, মন্ত্রীর পদমর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তিবর্গ, প্রতিমন্ত্রীবর্গ, প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তিবর্গ, উপমন্ত্রীবর্গ, উপমন্ত্রীর পদমর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তিবর্গ, বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশের কূটনৈতিক/কনস্যুলার/মিশনসমূহের প্রধানগণ এবং রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি এবং বান্দরবান জেলার স্থানীয় সরকার পরিষদের চেয়ারম্যানগণ।

প্রশ্ন: কোন্ কোন্ মর্যাদাসম্পন্ন পদের ব্যক্তিগণ গাড়ি বা জলযানে পতাকা ব্যবহার করতে পারেন?
উত্তর: রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, জাতীয় সংসদের স্পিকার, বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি, মন্ত্রীবর্গ, চিফ হুইপ, জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার, জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা, মন্ত্রীর পদমর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তিবর্গ এবং বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ কূটনৈতিক/কনস্যুলার/মিশনসমূহের প্রধানগণ।

প্রশ্ন: বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার সাথে কোন্ দেশের পতাকার মিল রয়েছে?
উত্তর: জাপান ও পালাউ।

Thursday, January 3, 2019

নেত্রকোনা (Netrokona) জেলা

নেত্রকোনা জেলা



প্রশ্ন: জেলা প্রতিষ্ঠিত হয় কবে?
উত্তর: ১ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৪।

প্রশ্ন: আয়তন কত?
উত্তর: ২,৭৯৪.২৮ বর্গকিলোমিটার।

প্রশ্ন: সীমা কি?
উত্তর: পূর্বে সুনামগঞ্জ জেলা, পশ্চিমে ময়মনসিংহ জেলা, উত্তরে মেঘালয় রাজ্যের গারো পাহাড় এবং দক্ষিণে কিশোরগঞ্জ জেলা।

প্রশ্ন: উপজেলার সংখ্যা কতটি ও কি কি?
উত্তর: ১০টি- নেত্রকোনা সদর, মোহনগঞ্জ, মদন, খালিয়াজুরি, কেন্দুয়া, দুর্গাপুর, কলমাকান্দা, আটপারা, বারহাট্টা, পূর্বধলা।

প্রশ্ন: পৌরসভা কতটি ও কি কি?
উত্তর: ৫টি- নেত্রকোনা, মোহনগঞ্জ, মদন, কেন্দুয়া ও দুর্গাপুর।

প্রশ্ন: ইউনিয়ন কতটি?
উত্তর: ৮৬টি।

প্রশ্ন: গ্রাম কতটি?
উত্তর: ২,২৮২টি।

প্রশ্ন: সাক্ষরতা আন্দোলনের নাম কি?
উত্তর: উজ্জ্বীবিত।

প্রশ্ন: নদ-নদী কি কি?
উত্তর: কংস, বাউলাই, ধনু, মুগরা, সমেশ্বর, পাটকুরা প্রভৃতি।

প্রশ্ন: ঐতিহাসিক ও দর্শনীয় স্থান কি কি?
উত্তর: গারো পাহাড়, কেন্দুয়ার রোয়াইল বাড়ি দুর্গ, খোজার দিঘি, দুর্গাপুরের সুসং মহারাজার বাড়ি, কমল রানীর দিঘি, আটপাড়ার কৃষ্ণপুর বৌদ্ধমঠ, সালকি মাটিকাটা গ্রামের পুরাকীর্তি প্রভৃতি।

প্রশ্ন: উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব কে কে?
উত্তর: হুমায়ূন আহমেদ (কথা সাহিত্যিক), বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ (সাবেক রাষ্ট্রপতি), মোহাম্মদ জাফর ইকবাল (বিজ্ঞান লেখক), নির্মলেন্দু গুণ (কবি), যতীন সরকার, খালেকদাদ চৌধুরী (সাহিত্যিক), হেলাল হাফিজ (কবি), কমরেড মনি সিংহ(১১ নং সেক্টর কমান্ডার), কর্নেল আবু তাহের (বীর উত্তম) [জন্ম চট্টগ্রাম] প্রমুখ।

প্রশ্ন: জাতীয় সংসদের আসন সংখ্যা কতটি ও কি কি?
উত্তর: ৫টি- ১৫৭. নেত্রকোনা-১, ১৫৮. নেত্রকোনা-২, ১৫৯. নেত্রকোনা-৩, ১৬০. নেত্রকোনা-৪ ও ১৬১. নেত্রকোনা-৫।

Wednesday, January 2, 2019

শেরপুর (Sherpur) জেলা

শেরপুর জেলা



প্রশ্ন: জেলা প্রতিষ্ঠিত হয় কবে?
উত্তর: ১৯৮৪ সালে।

প্রশ্ন: আয়তন কত?
উত্তর: ১,৩৬৪.৬৭ বর্গকিলোমিটার।

প্রশ্ন: সীমা কি?
উত্তর: পূর্বে ময়মনসিংহ জেলা, পশ্চিমে জামালপুর জেলা, উত্তরে ভারতের মেঘালয় রাজ্য, দক্ষিণে ময়মনসিংহ ও জামালপুর জেলা অবস্থিত।

প্রশ্ন: উপজেলার সংখ্যা কতটি ও কি কি?
উত্তর: ৫টি- শেরপুর সদর, ঝিনাইগাতি, শ্রীবর্দি, নালিতাবাড়ি ও নকলা।

প্রশ্ন: পৌরসভা কতটি ও কি কি?
উত্তর: ৪টি- শেরপুর, নকলা, নালিতাবাড়ি ও শ্রীবর্দি।

প্রশ্ন: ইউনিয়ন কতটি?
উত্তর: ৫২টি।

প্রশ্ন: গ্রাম কতটি?
উত্তর: ৬৯৫টি।

প্রশ্ন: সাক্ষরতা আন্দোলনের নাম কি?
উত্তর: প্রস্ফুটিত।

প্রশ্ন: নদ-নদী কি কি?
উত্তর: পুরাতন ব্রহ্মপুত্র, মৃগী, মালিঝি, কংস প্রভৃতি।

প্রশ্ন: ঐতিহাসিক ও দর্শনীয় স্থান কি কি?
উত্তর: শের আলী গাজীর মাজার, পানিহাটা দীঘি, গজনী অবকাশ কেন্দ্র, কাচবালি ও সিলিকা ক্ষেত্র।

প্রশ্ন: উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব কে কে?
উত্তর: রবি নিয়োগী (বিপ্লবী), আবুল কাশেম (ভাষা সৈনিক) হযরত শাহ কামান (র), বজলুর রহমান (সাংবাদিক), মতিয়া চৌধুরী (রাজনীতিবিদ) প্রমুখ।

প্রশ্ন: জাতীয় সংসদের আসন সংখ্যা কতটি ও কি কি?
উত্তর: ৩টি- ১৪৩. শেরপুর-১, ১৪৪. শেরপুর-২ ও ১৪৫. শেরপুর-৩।