সুন্দর থাকতে চান সবাই। আপনি যদি হন হবু কনে কিংবা বর, তাহলে তো কথাই নেই। আপনার বিয়ের আয়োজনে রাজ্যের ব্যস্ততম ব্যক্তিটি একমুহূর্তের জন্য এলেও আপনাকে আর আপনার জীবনসঙ্গীকেই দেখতে চাইবেন। বিয়ের আয়োজন, মঞ্চ সাজানো, খাবার পরিবেশন—সবকিছু ছাপিয়ে সবচেয়ে বড় হয়ে দাঁড়ায় বর ও কনের উপস্থিতিটাই। তবে বিয়ের পুরো আয়োজন নিয়ে ক্রমাগত কয়েক দিনের চাপ অপর্যাপ্ত ঘুম ক্লান্ত করে তোলে বর–কনেকে। তবে এত আয়োজনের মধ্যেও ব্যায়ামের অভ্যাস বজায় রাখুন। পর্যাপ্ত পানি পান করুন। সুষম খাবার খান। ভাজাপোড়া কম খান। সব সময় সুস্থ থাকার যা শর্ত, এ সময়ও তার ব্যতিক্রম যেন না হয়, সেই চেষ্টাই করুন।
কনের আভিজাত্য
কনেকে প্রথমে বুঝতে হবে, তাঁর ত্বকে কী ধরনের সমস্যা আছে। সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। ত্বকের বিভিন্ন অংশে রঙের অসামঞ্জস্য, ব্রণ-ফুসকুড়ি, মেছতা, শুষ্কতা নানা সমস্যার সমাধানগুলো আলাদা ধরনের। বিয়ের আগে তিন মাস হাতে সময় রাখতে পারলে বিয়ের সময় ফলাফল দারুণ হয়। রেড বিউটি স্যালনের রূপবিশেষজ্ঞ আফরোজা পারভীন বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক সেবার পাশাপাশি বাড়িতেও যত্ন নেওয়া যায় সহজেই।
* শীতের সময় শুষ্কতা দূর করতে পাকা পেঁপে, পাকা কলা, কমলার রস, মধু ও মুলতানি মাটির (বা ভেজানো মসুর ডালবাটা) প্যাক ব্যবহার করতে পারেন।
* অ্যালোভেরার সঙ্গে সামান্য হলুদ মিশিয়েও প্যাক হিসেবে ব্যবহার করা যায়।
* মিশ্র ত্বকে তেলভিত্তিক সেরাম কিংবা তেল ব্যবহার করা যায়। গভীর থেকে ময়েশ্চারাইজ করতে ত্বকে তেল মালিশ করুন। কুসুম গরম পানিতে ভেজানো তোয়ালে চেপে রাখুন পাঁচ মিনিট। এরপর তোয়ালের উল্টো দিক দিয়ে মুছে ফেলুন।
বর হবেন যিনি
অ্যাডোনাইজের স্বত্বাধিকারী ও রূপবিশেষজ্ঞ মোহাম্মদ হোসেন বলেন, বিয়ের আগে প্রস্তুতির জন্য মাসখানেক সময় হাতে রাখলে বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য ভালো। মাসখানেক আগেই একটা ফেসিয়াল করিয়ে নিতে পারেন। ১৫ দিন পর একবার টোনিং করান। বিয়ের দুই-তিন দিন আগে রোদেপোড়া ভাব কমাতে আরেকবার ফেসিয়াল করুন। এর মধ্যে বাড়িতে যা করতে পারেন-
* সপ্তাহে এক দিন এক চা–চামচ দুধের সর বা দুধ ও তিন-চারটা কাঠবাদাম (বেটে নেওয়া) দিয়ে প্যাক তৈরি করতে পারেন। আধা চা–চামচ মধুও দিতে পারেন। মিশ্রণ ত্বকে মালিশ করুন পাঁচ-সাত মিনিট। আরও ৫-১০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
* টমেটো বা শসা ব্লেন্ড করে মুখে ও ঘাড়ে লাগিয়ে রাখুন ১০-১৫ মিনিট। লাগানোর সময় হালকাভাবে মালিশও করতে পারেন। সপ্তাহে এক দিন ব্যবহার করুন। দাগ কমে আসবে।
* দুই-এক দিন পরপর ক্লিনজিং ও স্ক্রাবিঙের জন্য সুজি ও পানির মিশ্রণ দিয়ে হালকা ঘষতে পারেন দুই-পাঁচ মিনিটের জন্য। কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। কিংবা উপটানের সঙ্গে দুধ মিশিয়ে পাঁচ মিনিট মালিশ করে ধুয়ে ফেলতে পারেন, ফেসওয়াশের কাজ করবে। এক-দুই দিন পরপর এগুলো ব্যবহার করতে পারেন।
* রোদ থেকে সুরক্ষা দেয়, এমন প্রসাধন ব্যবহার করুন।
* অতিরিক্ত তৈলাক্ত ভাব থাকলে হাতে পানি নিয়ে ফিটকিরি ঘষুন (সাবানের মতো)। এবার এই পানিটা মুখে ও ঘাড়ে লাগিয়ে নিন। প্রতিদিন বা এক দিন পরপর প্রয়োগ করতে পারেন। এই পানি দেওয়ার পর ত্বক আর ধোয়ার প্রয়োজন নেই। বাইরে যাওয়ার আগে (সানস্ক্রিন ব্যবহারের আগে) এই পানি ব্যবহার করতে পারেন।
* রাতে ফেসওয়াশ ব্যবহার করতে ভুলবেন না। টমেটো ব্লেন্ড ব্যবহার করলে সেদিন ফেসওয়াশ ব্যবহার করবেন না।
* ক্লিনজিং মিল্ক এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। এটি ত্বককে তৈলাক্ত করে তুলতে পারে।
No comments:
Post a Comment