ত্বকের যত্ন
এ সময় সবচেয়ে ঝামেলা পোহাতে হয় শুষ্ক ত্বকের অধিকারীদের। গুঁড়া দুধ, মধু, হলুদের গুঁড়া, ময়দার মতো জিনিস প্রায় সবার বাসায় থাকে। গুঁড়া দুধ, মধু ও এক চিমটি হলুদগুঁড়ার সঙ্গে ৫টি কাঠবাদামের গুঁড়া মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে মুখের ত্বকে লাগাতে পারেন। এভাবে ১০ থেকে ১৫ মিনিট রাখার পর ধুয়ে ফেলুন। ভালো ফলের জন্য সপ্তাহে তিন দিন ব্যবহার করতে হবে। এটি শুষ্ক ত্বকের পাশাপাশি স্বাভাবিক ত্বককেও ময়েশ্চারাইজ করতে সাহায্য করবে। শুষ্ক ত্বকে প্রতিদিন গোসলের পর তেল ব্যবহার করা ভালো। হালকা মিঠে রোদে চুল শুকাতে শুকাতে ত্বকে বুলিয়ে নিতে পারেন কাঠবাদাম বা জলপাই তেলের পরশ। একইভাবে কাজের ফাঁকে গল্প করতে করতে একটি আলুর অর্ধেক কুড়ে নিন, সঙ্গে যোগ করুন কমলার খোসার গুঁড়া, ১ চা-চামচ ময়দা ও মধু। ত্বকে লাগিয়ে না শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। যাদের তৈলাক্ত ত্বক সপ্তাহে ২ থেকে ৩ দিন তারা প্যাকটি ব্যবহার করতে পারেন।
পায়ের যত্ন
এ সময় বাইরে থেকে এসে কিছুক্ষণ কুসুম গরম পানিতে সামান্য লবণ ও গোলাপের পাপড়ি মিশিয়ে হাত–পা ভিজিয়ে রাখলে ত্বক পরিষ্কার হবে। সেই সঙ্গে হালকা আরামও পাবেন। পায়ের ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে কাঠবাদামের তেল বা জলপাই তেলের সঙ্গে ভিটামিন ‘ই’ ক্যাপসুল মিশিয়ে নিয়ে হাত–পায়ে প্রতিদিন অন্তত একবার মালিশ করতে পারেন।
ঠোঁটের যত্ন
খুব সহজে আর্দ্রতা হারানোর কারণে শীতকালে ঠোঁটের একটু বেশিই যত্নের প্রয়োজন হয়। ঠোঁট ভালো রাখতে লেবু, মধু ও চিনির স্ক্রাব মিশিয়ে প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। ২ বা ৩টি গোলাপের পাপড়ি, মধু, দুধ বা দুধের সর একসঙ্গে বেটে ঠোঁটে ১০ মিনিট লাগিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ভালো ফল পেতে ৩ থেকে ৪ দিন ব্যবহার করুন।
এ তো গেল বাহ্যিক রূপচর্চার কথা। এ ছাড়া শীতে ভিটামিন সি–জাতীয় ফলমূল যেমন—কমলা, পেয়ারা, আমলকী ইত্যাদি খাওয়া ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। সুস্থ ত্বকের জন্য ঘুম অত্যন্ত জরুরি। প্রতিদিন ৮ থেকে ৯ ঘণ্টা ঘুমানো উচিত। বেশি করে কাঠবাদাম, আখরোট, খেজুর, কিশমিশ খান। এ ছাড়া ত্বককে সুস্থ ও সজীব রাখতে প্রতিদিন অন্তত ২ থেকে ৩ লিটার পানি পান করুন।
No comments:
Post a Comment