প্রাচীন বাংলার জনপদ |
প্রশ্ন:
বাংলার প্রাচীন জনপদসমূহ কি কি?
উত্তর:
গৌড়, বঙ্গ, পুণ্ড্র, হরিকেল, সমতট, বরেন্দ্র, আম্রলিপ্ত, চন্দ্রদ্বীপ, উত্তর রাঢ়, দক্ষিণ
রাঢ়, বাংলা বা বাঙলা, দণ্ডভুক্তি প্রভৃতি। [ সূত্র: মাধ্যমিক বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা;
নবম ও দশম শ্রেণী]
প্রশ্ন:
সাতশতকের দিকে কে রাজা হয়ে মুর্শিদাবাদ হতে উৎকল (উত্তর উড়িষ্যা) পর্যন্ত এলাকাকে সংঘবদ্ধ
করেন?
উত্তর:
শশাঙ্ক।
প্রশ্ন:
শশাঙ্কের সংঘবদ্ধের পর বাংলা কোন্ তিনটি জনপদে পরিচিত ছিল?
উত্তর:
পুণ্ড্রবর্ধন, গৌড় ও বঙ্গ (বাকি জনপদগুলো তিনটির সাথে বিলীন হয়)।
প্রশ্ন:
‘মাৎস্যন্যায়’ বাংলার কোন সময়কাল নির্দেশ করে?
উত্তর:
৭ম-৮ম শতক।
প্রশ্ন:
বাংলা নামের উৎপত্তি সম্বন্ধে কোন্ গ্রন্থে উল্লেখ আছে?
উত্তর:
আইন-ই-আকবরী।
প্রশ্ন:
প্রাচীনকালে রাজশাহী কোন্ জনপদের আওতাভুক্ত ছিল?
উত্তর:
পুণ্ড্র ও বরেন্দ্র উভয় জনপদে।
প্রশ্ন:
বাংলাদেশের প্রাচীন জাতি কোনটি?
উত্তর:
দ্রাবিড়।
প্রশ্ন:
প্রাচীন বাংলায় পুণ্ড্র নামটি কিসের ছিল?
উত্তর:
জনপদের।
প্রশ্ন:
বাংলার আদি জনগোষ্ঠী কোন্ ভাষাভাষী ছিল?
উত্তর:
অস্ট্রিক।
প্রশ্ন: চীনা পর্যটক হিউয়েন সাঙ সপ্তম শতকের
মাঝামাঝি কোন্ জনপদটি ভ্রমণ করে একটি বিবরণী লিখেন?
উত্তর: সমতট।
প্রশ্ন: মহাস্থানগড় এবং প্রাচীন পুণ্ড্রবর্ধন
নগরী যে একই এটা শনাক্তকরণ করেন কে?
উত্তর: স্যার আলেকজান্ডার কানিংহাম।
প্রশ্ন: প্রাচীনকালে ‘গঙ্গারিডই’ নামে শক্তিশালী
রাজ্যটি কোথায় অবস্থিত?
উত্তর: অনুমান করা হয় গঙ্গা নদীর তীরে।
প্রশ্ন: কবে, কোন শাসক কি নামে প্রাচীন
জনপদগুলোকে একত্রিত করেন?
উত্তর: সপ্তম শতাব্দীতে রাজ্য শশাঙ্ক বাংলার
প্রাচীন জনপদগুলো একত্রিত করে নাম দেন ‘গৌড়’।
প্রশ্ন: রাজা শশাঙ্কের শাসনামলের পরে ‘বঙ্গদেশ’
কয়টি জনপদে বিভক্ত ছিল?
উত্তর: ৩টি – পুণ্ড্র, গৌড় ও বঙ্গ।
প্রশ্ন: কোন্ শতকে বঙ্গ ও গৌড় নামে দুটি
স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্ম হয়?
উত্তর: ষষ্ঠ শতকে।
প্রশ্ন: রাঢ় জনপদের লোকের প্রকৃতি ছিল কেমন?
উত্তর: অত্যন্ত নিষ্ঠুর ও রূঢ়।
প্রশ্ন: কোটিবর্ষ কোথায়?
উত্তর: দিনাজপুর জেলার ‘বাণগ্রাম’ নামক
গ্রাম।
প্রশ্ন: প্রাচীন কোন্ কোন্ গ্রন্থে বাংলাদেশের
নাম উল্লেখ পাওয়া যায়?
উত্তর: ঋগ্বেদের ‘ঐতরেয় আরণ্যকে’র শ্লোকে
(২-১-১), মহাভারতে, পতঞ্জলির ভাষ্যে, ওভেদী, টলেমির লেখায়, কালিদাশের ‘রঘুবংশে’ এবং
আবুল ফজলের ‘আইন-ই-আকবরী’ গ্রন্থে।
প্রশ্ন: প্রাচীন রাঢ় জনপদ কোথায় অবস্থিত?
উত্তর: বর্ধমান।
No comments:
Post a Comment