প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ২০২৩ সালের ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষার একটি নির্দেশনাপত্র জারি করেছে। এই ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে তোমাদের বৃত্তি পরীক্ষাটি অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি উপজেলা সদরে হবে এ পরীক্ষা। বিদ্যালয়ের মোট শিক্ষার্থীর ১০ শতাংশ পরীক্ষা দিতে পারবে বলে প্রাথমিকভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এত দিন প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার ভিত্তিতে প্রাথমিক বৃত্তি দেওয়া হতো। যেহেতু সমাপনী পরীক্ষা বাদ দেওয়া হয়েছে, তাই বিকল্প হিসেবে পুরোনো পদ্ধতির মতো করে বৃত্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
তোমরা ৫ম শ্রেণিতে যে বিষয়ে পড়াশোনা করেছ, সে বিষয়গুলোর মধ্য থেকেই প্রশ্ন করা হবে। কী কী বিষয়ে কত নম্বরের প্রশ্ন হবে তা খুব শিগগিরই জানিয়ে দেওয়া হবে। এখন তোমাদের কাজ হলো মানসিকভাবে পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া।
তোমরা সারা বছরই শ্রেণিতে ও বাসায় বিষয়গুলো পড়েছ। বাষি৴ক পরীক্ষায় অংশ নিয়েছ, তাই প্রস্তুতি কিন্তু তোমার নেওয়া আছেই। এখন শুধু প্রয়োজন ভালো করে সঠিক নিয়মে রিভিশন দেওয়া।
বাংলা বিষয়ে এককথায় প্রকাশ, বিপরীত শব্দ, রচনা লেখো, ক্রিয়াপদের চলিতরূপ, চিঠিপত্র, পাঠ্যবইয়ের অনুচ্ছেদ পড়ে প্রশ্নের উত্তর লেখাগুেলা পড়বে। ইংরেজির Rearrange, Wh questions, English for Today বইয়ের Text–গুলো ভালো করে দেখে নেবে।
গণিতের সংক্ষিপ্ত উত্তর প্রশ্নগুলো খুবই দরকারি। চার প্রক্রিয়া–সম্পকি৴ত সমস্যা, গড়, শতকরা, জ্যামিতি ও সময়–সম্পকি৴ত অধ্যায়গুলো ভালো করে দেখে নেবে।
প্রাথমিক বিজ্ঞান, বাংলােদশ ও বিশ্বপরিচয় এবং ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা বিষয়ে সংক্ষিপ্ত উত্তর প্রশ্ন, সঠিক শব্দ দিয়ে শূন্যস্থান পূরণ করো, মিলকরণ ও কাঠামোবদ্ধ উত্তর প্রশ্নগুলো দেখে নেবে।
পরীক্ষা হবে ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে। সে হিসাবে হাতে ১৮ থেকে ২০ দিনের মতো সময় পাবে। আজই একটা পড়ার রুটিন করে নাও। এতে তোমার প্রতিটি বিষয়ের রিভিশন সঠিকভাবে পরীক্ষার আগেই শেষ করতে পারবে।
গণিত নিয়মিত অনুশীলন করবে। বাংলা ও ইংরেজির বানানগুলো যেন ভুল না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখবে।
অভিভাবকদের প্রতি অনুরোধ, আপনার সন্তানকে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষার জন্য মানসিকভাবে সহায়তা দিন, উৎসাহ দিন। সে যাতে নিশ্চিন্তমনে পরীক্ষা দিতে পারে তার ব্যবস্থা করবেন।
No comments:
Post a Comment