Showing posts with label বৃত্তি প্রস্তুতি. Show all posts
Showing posts with label বৃত্তি প্রস্তুতি. Show all posts

Sunday, December 11, 2022

পঞ্চম শ্রেণী || প্রাথমিক বিজ্ঞান || অধ্যায় ১২ || বর্ণনামূলক প্রশ্ন || পর্ব-২ || বৃত্তি পরীক্ষা

 


অধ্যায় ১২ থেকে বর্ণনামূলক প্রশ্নোত্তর :

১. প্রশ্ন: জলবায়ু পরিবর্তনের হার কমানো এবং এর সঙ্গে খাপ খাওয়ানো কীভাবে সম্পর্কিত?
উত্তর: জলবায়ু পরিবর্তনের প্রধান কারণ হলো বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ বৃদ্ধি। সুতরাং বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই-অক্সাইডের নির্গমন কমিয়ে আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি কমাতে পারি। এ জন্য কয়লা, তেল, প্রাকৃতিক গ্যাসের মতো জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমাতে হবে। নবায়নযোগ্য জ্বালানিশক্তি যেমন– সৌরশক্তি, বায়ুশক্তি প্রভৃতির ব্যবহার বাড়াতে হবে। এছাড়া বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে আমরা বায়ুমণ্ডলের কার্বন ডাই-অক্সাইড হ্রাস করতে পারি।
দৈনন্দিন জীবনে শক্তির ব্যবহার কমিয়েও আমরা কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গমন কমাতে পারি। অন্যদিকে পরিবর্তিত জলবায়ুতে বেঁচে থাকার জন্য গৃহীত কর্মসূচিই হলো জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাওয়ানো বা অভিযোজন। অভিযোজনের উদ্দেশ্য হলো জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট ঝুঁকি কমানো ও পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে টিকে থাকার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া।
এ কারণেই জলবায়ু পরিবর্তনের হার কমানো এবং এর সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর বিষয়টি পরস্পর সম্পর্কযুক্ত।

 

২. প্রশ্ন: কীভাবে আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের হার কমাতে পারি?
উত্তর: জলবায়ু পরিবর্তনের প্রধান কারণ হচ্ছে বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ বৃদ্ধি। সুতরাং বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গমনের পরিমাণ কমিয়ে আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের হার কমাতে পারি। এ জন্য কয়লা, তেল, প্রাকৃতিক গ্যাসের মতো জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমাতে হবে। নবায়নযোগ্য শক্তি যেমন সৌরশক্তি, বায়ুশক্তি প্রভৃতির ব্যবহার বাড়াতে হবে। বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে আমরা বায়ুমণ্ডলের কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ হ্রাস করতে পারি। এসব কর্মকাণ্ড দীর্ঘমেয়াদি জলবায়ু পরিবর্তন হ্রাস করতে সহায়তা করে।

৩. প্রশ্ন: পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল কীভাবে গ্রিনহাউসের কাচের মতো কাজ করে?
উত্তর: শীতপ্রধান দেশে কাচের ঘর বানিয়ে বিভিন্ন গাছপালা লাগানো হয়। এ ধরনের ঘরকে গ্রিনহাউস বলে। এই ঘর তার ভেতরে সূর্যের তাপকে আটকে রাখে। ফলে তীব্র শীতেও গাছপালা এই ঘরের ভেতর উষ্ণ ও সজীব থাকে। কাচের ঘরের ভেতর এভাবে তাপ থেকে যাওয়ার বিষয়টিকে গ্রিন হাউসের প্রভাব বলে। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলও গ্রিনহাউসের মতো কাজ করে। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের কার্বন ডাই-অক্সাইড, মিথেন ও জলীয় বাষ্প গ্রিনহাউসের কাচের মতো কাজ করে। এই গ্যাসগুলো সূর্যের তাপ পৃথিবীতে আসতে কোনো বাধা সৃষ্টি করে না। ফলে পৃথিবী সূযের্র তাপে উত্তপ্ত হয়। এতে করে বায়ুমণ্ডলে তাপ জমা হতে থাকে এবং পৃথিবীর তাপমাত্রা ক্রমাগত বাড়তে থাকে। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল গ্রিনহাউসের কাচের মতো কাজ করায়, একে গ্রিনহাউসের সঙ্গে তুলনা করা হয়।

পঞ্চম শ্রেণী || প্রাথমিক বিজ্ঞান || অধ্যায় ১২ || সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন || পর্ব-১ || বৃত্তি পরীক্ষা

 


১. প্রশ্ন: বৈশ্বিক উষ্ণায়ন কী?
উত্তর: পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাওয়াই হলো বৈশ্বিক উষ্ণায়ন।

২. প্রশ্ন: বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রধান কারণ কী?
উত্তর: বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রধান কারণ হলো বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই–অক্সাইড গ্যাসের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়া বা গ্রিনহাউস প্রভাব।

৩. প্রশ্ন: বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের একটি উদাহরণ দাও।
উত্তর: বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের একটি উদাহরণ হলো ঘন ঘন ঘূর্ণিঝড় হওয়া।

৪. প্রশ্ন: পরিবেশের ওপর বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রভাব কী কী?
উত্তর: পরিবেশের ওপর বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রভাবগুলো হলো ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, বন্যা, খরা, টর্নেডো, নদীভাঙন প্রভৃতি প্রাকৃতিক দুর্যোগ।

৫. প্রশ্ন: ‘গ্রিনহাউস’ বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: শীতপ্রধান দেশে তীব্র শীতে গাছপালা টিকে থাকতে পারে না। সেখানে কাচের বা প্লাস্টিকের ঘর বানিয়ে সবুজ শাকসবজি চাষ করা হয়। এ রকম ঘরকে গ্রিনহাউস বলে।

৬. প্রশ্ন: বাংলাদেশের জলবায়ু কেমন?
উত্তর: বাংলাদেশের জলবায়ু উষ্ণ এবং আর্দ্র।

 

৭. প্রশ্ন: জলবায়ু বলতে কী বোঝো?
উত্তর: জলবায়ু হলো কোনো জায়গার অনেক বছরের আবহাওয়ার একটি সামগ্রিক অবস্থা।

৮. প্রশ্ন: শীতপ্রধান দেশে কী উদ্দেশ্যে গ্রিনহাউস বানানো হয়?
উত্তর: শীতপ্রধান দেশে শীতের তীব্রতা থেকে গাছপালাকে বাঁচিয়ে রাখতে গ্রিনহাউস বানানো হয়।

৯. প্রশ্ন: আমাদের চারপাশের আবহাওয়া প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হয়। এটি নির্ণয় করতে কোন কোন বিষয় পর্যবেক্ষণ করতে হয়?
উত্তর: কোনো অঞ্চলের আবহাওয়ার পরিবর্তন নির্ণয় করতে যেসব বিষয় পর্যবেক্ষণ করতে হয়, সেগুলো হলো— ১. তাপমাত্রা ২. বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৩. কালবৈশাখী বা ঘূর্ণিঝড়ের প্রবণতা।

১০. প্রশ্ন: পৃথিবীর জলবায়ু কোন কারণে পরিবর্তিত হচ্ছে?
উত্তর: বৈশ্বিক উষ্ণায়নের কারণে পৃথিবীর জলবায়ু ধীরে ধীরে পরিবর্তিত হচ্ছে।

১১. প্রশ্ন: আমরা বিভিন্ন কাজে জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার করি। এমন দুটি ব্যবহার লেখো।
উত্তর: জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহৃত হয় এমন দুটি উদাহরণ হলো— ১. বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র ২. কলকারখানা।

১২. প্রশ্ন: কী কী বিষয়কে পর্যবেক্ষণ করে আমরা বৈশ্বিক উষ্ণায়ন সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারি?
উত্তর: কয়েক বছরের তাপমাত্রা পরিবর্তন ও হিমালয় পর্বতের হিমবাহ গলনের হার থেকে আমরা বৈশ্বিক উষ্ণায়ন সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারি।

পঞ্চম শ্রেণী || বাংলা || বৃত্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি || পর্ব-১

 


বাক্যগুলোর ক্রিয়াপদের চলিত রূপ করো

প্রশ্ন: দেশ হইল জননীর মতো।
উত্তর: দেশ হলো জননীর মতো।

প্রশ্ন: দেশকে ভালোবাসতে হইবে।
উত্তর: দেশকে ভালোবাসতে হবে।

প্রশ্ন: সবাইকে শ্রদ্ধা করিতে হইবে।
উত্তর: শ্রদ্ধা করতে হবে।

প্রশ্ন: ঘুরিয়া ঘুরিয়া দেশ দেখিব।
উত্তর: ঘুরে ঘুরে দেশ দেখব।

প্রশ্ন: ভালো কাজ করিবার ইচ্ছা থাকা দরকার।
উত্তর: ভালো কাজ করার ইচ্ছা থাকা দরকার।

প্রশ্ন: টাইগার শুনিলেই রয়েল বেঙ্গল টাইগারের কথা স্মরণ হইবে।
উত্তর: টাইগার শুনলেই রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের কথা স্মরণ হবে। 

অনুচ্ছেদ পড়ে পাঁচটি প্রশ্ন তৈরি করো

দুই বোন মা-বাবার আদরের ছায়ায় বড় হয়। স্কুলে যাওয়ার পথে বুনোফুল ছিঁড়ে বেণির সঙ্গে গেঁথে রাখে। ফড়িং ধরে। আবার আকাশে উড়িয়ে দেয়। ফুলের পাপড়ি ছিঁড়ে খাতার ভেতর চাপা দিয়ে রাখে। জসীম মিয়া ওদের কপালে চুমু দিয়ে বলে, আমার মেয়েগুলোর অনেক বুদ্ধি। অনেক বড় হ মা। চাইলে লেখাপড়ার জন্য তোদের আমি ঢাকা পাঠাব। দুই বোন খুশিতে হাততালি দেয়। মা-বাবা ওদের উৎফুল্ল মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে। একদিন জসীম মিয়া বাজারে যায়। সেখান থেকে দুই সের চাল-ডাল কিনে বাড়ি ফিরে বারান্দায় ধপাস করে বসে পড়ে। ছুটে আসে রাহেলা বানু।

উত্তর: নিচে পাঁচটি প্রশ্ন তৈরি করা হলো—
ক. জসীম মিয়া কে?
খ. স্কুলে যাওয়ার পথে দুই বোন বেণির সঙ্গে কী গেঁথে রাখে?
গ. কেন দুই বোন খুশিতে হাততালি দেয়?
ঘ. জসীম মিয়া লেখাপড়ার জন্য মেয়েদের কোথায় পাঠাতে চায়?
ঙ. দুই বোন কীভাবে বড় হয়?

নিচের যুক্তবর্ণ বিভাজন বাক্যে প্রয়োগ করো

ক্ট = ক + ট = অক্টোপাস সামুদ্রিক প্রাণী।

ক্ত = ক + ত = সিংহ শক্তিশালী প্রাণী।

ক্ষ্ণ= ক + ষ + ণ = তীক্ষ্ণ মেধাবীরা জীবনে বড় হয়

গ্ন = গ + ন = সৌরভ মগ্ন হয়ে গান শুনছে

ঘ্ন = ঘ + ন = পড়ায় বিঘ্ন ঘটে, এমন কিছু কোরো না।

ঙ্ক = ঙ + ক = অঙ্কটা বেশ সহজ ছিল।

ঙ্খ = ঙ +খ = রাজকুমার পঙ্খিরাজে চড়ে উড়াল দেয়।

ক্ল = ক + ল = ক্লান্ত শরীরে বিশ্রাম প্রয়োজন।

ক্ষ = ক + ষ = প্রাণী, বৃক্ষলতা প্রকৃতির দান।

ক্স = ক + স = কক্সবাজার পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত।

গ্ধ = গ + ধ = সমুদ্র সৈকত দেখে মুগ্ধ হলাম।

আজ থেকেই প্রস্তুতি নাও বৃত্তি পরীক্ষার

 


প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ২০২৩ সালের ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষার একটি নির্দেশনাপত্র জারি করেছে। এই ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে তোমাদের বৃত্তি পরীক্ষাটি অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি উপজেলা সদরে হবে এ পরীক্ষা। বিদ্যালয়ের মোট শিক্ষার্থীর ১০ শতাংশ পরীক্ষা দিতে পারবে বলে প্রাথমিকভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এত দিন প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার ভিত্তিতে প্রাথমিক বৃত্তি দেওয়া হতো। যেহেতু সমাপনী পরীক্ষা বাদ দেওয়া হয়েছে, তাই বিকল্প হিসেবে পুরোনো পদ্ধতির মতো করে বৃত্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

তোমরা ৫ম শ্রেণিতে যে বিষয়ে পড়াশোনা করেছ, সে বিষয়গুলোর মধ্য থেকেই প্রশ্ন করা হবে। কী কী বিষয়ে কত নম্বরের প্রশ্ন হবে তা খুব শিগগিরই জানিয়ে দেওয়া হবে। এখন তোমাদের কাজ হলো মানসিকভাবে পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া।

তোমরা সারা বছরই শ্রেণিতে ও বাসায় বিষয়গুলো পড়েছ। বাষি৴ক পরীক্ষায় অংশ নিয়েছ, তাই প্রস্তুতি কিন্তু তোমার নেওয়া আছেই। এখন শুধু প্রয়োজন ভালো করে সঠিক নিয়মে রিভিশন দেওয়া।


বাংলা বিষয়ে এককথায় প্রকাশ, বিপরীত শব্দ, রচনা লেখো, ক্রিয়াপদের চলিতরূপ, চিঠিপত্র, পাঠ্যবইয়ের অনুচ্ছেদ পড়ে প্রশ্নের উত্তর লেখাগুেলা পড়বে। ইংরেজির Rearrange, Wh questions, English for Today বইয়ের Text–গুলো ভালো করে দেখে নেবে।

গণিতের সংক্ষিপ্ত উত্তর প্রশ্নগুলো খুবই দরকারি। চার প্রক্রিয়া–সম্পকি৴ত সমস্যা, গড়, শতকরা, জ্যামিতি ও সময়–সম্পকি৴ত অধ্যায়গুলো ভালো করে দেখে নেবে।

প্রাথমিক বিজ্ঞান, বাংলােদশ ও বিশ্বপরিচয় এবং ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা বিষয়ে সংক্ষিপ্ত উত্তর প্রশ্ন, সঠিক শব্দ দিয়ে শূন্যস্থান পূরণ করো, মিলকরণ ও কাঠামোবদ্ধ উত্তর প্রশ্নগুলো দেখে নেবে।

পরীক্ষা হবে ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে। সে হিসাবে হাতে ১৮ থেকে ২০ দিনের মতো সময় পাবে। আজই একটা পড়ার রুটিন করে নাও। এতে তোমার প্রতিটি বিষয়ের রিভিশন সঠিকভাবে পরীক্ষার আগেই শেষ করতে পারবে।

গণিত নিয়মিত অনুশীলন করবে। বাংলা ও ইংরেজির বানানগুলো যেন ভুল না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখবে।

অভিভাবকদের প্রতি অনুরোধ, আপনার সন্তানকে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষার জন্য মানসিকভাবে সহায়তা দিন, উৎসাহ দিন। সে যাতে নিশ্চিন্তমনে পরীক্ষা দিতে পারে তার ব্যবস্থা করবেন।