ডায়াবেটিসের সমস্যাটি ইদানীং ঘরে ঘরে দেখা যায়। ডায়াবেটিস নামের এই জটিলতাটি একা আসে না, এর সঙ্গে সঙ্গে যোগ হয় হৃদরোগ, কিডনি ও ত্বকের সমস্যা। ভবিষ্যতে কি আপনারও হতে পারে ডায়াবেটিস?
টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিস হয়ে থাকে জন্মগত। কারও শরীর জন্ম থেকেই ইনসুলিন উৎপাদনে অক্ষম থাকলে তিনি সারা জীবনের জন্য ডায়াবেটিসের রোগী হয়ে থাকবেন। বংশগতি, প্যানক্রিয়াস তথা অগ্ন্যাশয়ের রোগ বা ইনফেকশন হতে পারে এর কারণ।
টাইপ টু ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে বেশ কিছু ব্যাপারে জেনে রাখা ভালো। টাইপ টু ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে মডিফায়েবল এবং নন-মডিফায়েবল দুই ধরনের কেস দেখা যায়। মডিফায়েবল কেসের ক্ষেত্রে ধূমপান, মদ্যপান, অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার, রেড মিট খাওয়ার অভ্যাস এসব কারণে, ওবেসিটি থাকলে টাইপ টু ডায়াবেটিস হতে পারে। জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনলে এক্ষেত্রে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে যেতে পারে।
এছাড়াও দেখা যায়, পিটুইটারি গ্ল্যান্ডে টিউমার থাকলে ডায়াবেটিস হতে পারে। প্যানক্রিয়াসের ওপর পিটুইটারি গ্ল্যান্ডের প্রভাব থাকে, ফলে পিটুইটারি গ্ল্যান্ডে টিউমার হলে প্যানক্রিয়াসের ইনসুলিন উৎপাদনে বাধা পড়তে পারে। এর থেকে ডায়াবেটিস হতে পারে। এই টিউমার সারিয়ে তোলা গেলে ডায়াবেটিসও সেরে যায়। এ ছাড়াও গর্ভাবস্থায় এক ধরনের ডায়াবেটিস হতে দেখা যায়, যা সন্তান জন্ম নেওয়ার আগ পর্যন্ত থাকে।
নন-মডিফায়েবল কেসের ক্ষেত্রে বয়স ৩০ এর বেশি হয়ে গেলে তখন ডায়াবেটিসের ঝুঁকি থাকতেই পারে, এটা এড়ানোর কোনো উপায় নেই। এছাড়া বংশগতভাবে ডায়াবেটিসের ইতিহাস থাকলে তখন তারও ডায়াবেটিস হওয়ার একটা বড় আশঙ্কা থাকে, যা এড়ানো কঠিন।
ডায়াবেটিস হওয়ার পেছনে ওবেসিটি বা অতিরিক্ত ওজন, বংশগতি, রক্তে বেশি মাত্রায় খারাপ ধরনের কোলেস্টেরল, বয়স, ইনসুলিন রেসিসটেন্স, উচ্চ রক্তচাপ, যথেষ্ট ব্যায়াম না করা, পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম, মধ্যবয়স, ইমপেয়ারড গ্লুকোজ ইনটলারেন্স, গর্ভাবস্থাসহ বেশকিছু কারণ দায়ী। এ ধরনের লক্ষণ দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করুন, সুস্থ থাকুন।
সূত্র: সমকাল
No comments:
Post a Comment