`qvgq cig `qvjy Avjøvn&i bv‡g
১১) তাহাদেরকে যখন বলা হয়, ‘পৃথিবীতে অশান্তি সৃষ্টি করিও না’, তাহারা বলে, ‘আমরাই তো শান্তি স্থাপনকারী’।
১২) সাবধান! ইহারাই
অশান্তি সৃষ্টিকারী, কিন্তু ইহারা বুঝিতে পারে না।
১৩) যখন তাহাদেরকে
বলা হয়, যে সকল লোক ঈমান আনিয়াছে তোমরাও তাহাদের মত ঈমান আনয়ন কর, তাহারা বলে, ‘নির্বোধগণ
যেরূপ ঈমান আনিয়াছে আমরাও কি সেইরূপ ঈমান আনিব?’ সাবধান! ইহারাই নির্বোধ, কিন্তু ইহারা
জানে না।
১৪) যখন তাহারা
মু‘মিনগণের সংস্পর্শে আসে তখন বলে, ‘আমরা ঈমান আনিয়াছি’; আর যখন তাহারা নিভৃতে তাহাদের
শয়তানদের সঙ্গে মিলিত হয় তখন বলে, ‘আমরা তো তোমাদের সঙ্গেই রহিয়াছি; আমরা শুধু তাহাদের
সঙ্গে ঠাট্টা-তামাশা করিয়া থাকি।’
১৫) আল্লাহ তাহাদের
সঙ্গে তামাশা করেন এবং তাহাদেরকে অবাধ্যতায় বিভ্রান্তের ন্যায় ঘুরিয়া বেড়াইবার অবকাশ
দেন।
১৬) ইহারাই হিদায়াতের
বিনিময়ে ভ্রান্তি ক্রয় করিয়াছে। সুতরাং তাহাদের ব্যবসা লাভজনক হয় নাই, তাহারা সৎপথেও
পরিচালিত নহে।
১৭) তাহাদের উপমা:
যেমন এক ব্যক্তি অগ্নি প্রজ্বলিত করিল; উহা যখন তাহার চতুর্দিক আলোকিত করিল আল্লাহ
তখন তাহাদের জ্যোতি অপসারিত করিলেন এবং তাহাদেরকে ঘোর অন্ধকারে ফেলিয়া দিলেন, তাহারা
কিছুই দেখিতে পায় না-
১৮) তাহারা বধির,
মূক, অন্ধ, সুতরাং তাহারা ফিরিবে না।
১৯) কিংবা যেমন
আকাশের বর্ষণমুখর ঘন মেঘ-যাহাতে রহিয়াছে ঘোর অন্ধকার, বজ্রধ্বনি ও বিদ্যুৎ-চমক। বজ্রধ্বনিতে
মৃত্যুভয়ে তাহারা তাহাদের কর্ণে অঙ্গুলি প্রবেশ করায়। আল্লাহ কাফিরদের পরিবেষ্টন করিয়া
রহিয়াছেন।
২০) বিদ্যুৎ-চমক
তাহাদের দৃষ্টিশক্তি প্রায় কাড়িয়া নেয়। যখনই বিদ্যুতালোক তাহাদের সম্মুখে উদ্ভাসিত
হয় তাহারা তখনই তাহাতে পথ চলিতে থাকে এবং যখন তাহারা অন্ধকারে আচ্ছন্ন হয়, তখন তাহারা
থমকিয়া দাঁড়ায়। নিশ্চয়ই আল্লাহ ইচ্ছা করিলে তাহাদের শ্রবণ ও দৃষ্টিশক্তি হরণ করিতেন।
আল্লাহ সর্ববিষয়ে সর্বশক্তিমান।
ভিডিও দেখুন:
No comments:
Post a Comment