প্রশ্ন: ব্রিটিশ বণিকদের
বিরুদ্ধে একজন চাকমা জুমিয়া নেতা বিদ্রোহের পতাকা উড়িয়েছিলেন, তার নাম কি?
উত্তর: জান বখশ খাঁ।
প্রশ্ন: ব্রিটিশ আমলে
বাংলাদেশে যেসব আন্দোলন হয়েছিল তার মধ্যে কোনটি প্রধান?
উত্তর: ফরায়েজী আন্দোলন।
প্রশ্ন: উপমহাদেশে প্রথম
স্বাধীনতা সংগ্রাম কখন সংঘটিত হয়?
উত্তর: ১৮৫৭ সালে।
প্রশ্ন: প্রথম স্বাধীনতা
সংগ্রাম কোনটি?
উত্তর: সিপাহী বিপ্লব।
প্রশ্ন: ব্রিটিশ শাসনের
বিরুদ্ধে বাঙালিদের প্রথম বিদ্রোহ কোনটি?
উত্তর: ফকির ও সন্ন্যাসী
(১৭৫৭-১৮০৩)।
প্রশ্ন: ঢাকায় ১৮৫৭ সালের
সিপাহী বিদ্রোহের স্মৃতি বিজড়িত স্থান কোনটি?
উত্তর: বাহাদুর শাহ পার্ক।
প্রশ্ন: মাস্টারদা সূর্যসেনের
ফাঁসি কার্যকর হয়েছিল কোথায়?
উত্তর: চট্টগ্রামে।
ওয়াহাবী আন্দোলন ও সৈয়দ
আহমদ বেরেলভী
প্রশ্ন: ‘ওয়াহাবী’ কথাটি
কার নাম থেকে এসেছে?
উত্তর: মুহম্মদ ইবনে আব্দুল
ওয়াহাব (১৭০৩-১৭৯২)।
প্রশ্ন: মুহম্মদ ইবনে
আব্দুল ওয়াহাব কোন্ দেশের অধিবাসী?
উত্তর: সৌদি আরবের।
প্রশ্ন: মুহম্মদ ইবনে
আব্দুল ওয়াহাবের সংস্কার আন্দোলনের উদ্দেশ্য কি ছিল?
উত্তর: কুসংস্কার ও অনৈসলামিক
রীতিনীতি দূর করে পবিত্র কোরআন ও হাদিসের নির্দেশিত সরল আদর্শে মুসলিম সমাজকে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত
করা।
প্রশ্ন: ভারতবর্ষে ওয়াহাবী
মত ও আদর্শ প্রচারের পথিকৃৎ ছিলেন কে?
উত্তর: সৈয়দ আহমদ বেরেলভী।
প্রশ্ন: সৈয়দ আহমদ বেরেলভী
কার শিষ্য ছিলেন?
উত্তর: দিল্লির বিখ্যাত
আলেম শাহ ওয়ালিউল্লাহর (১৭০৩-৬০) পুত্র শাহ আব্দুল আজিজ ও শাহ আব্দুল কাদিরের শিষ্য।
প্রশ্ন: সৈয়দ আহমদ বেরেলভী
কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর: ১৭৮৬ সালে উত্তর
প্রদেশে লক্ষ্মৌর নিকটে রায়বেরিলিতে।
প্রশ্ন: সৈয়দ আহমদ বেরেলভী
কবে শিখদের বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করেন?
উত্তর: ১৮২৬ সালে।
প্রশ্ন: সৈয়দ আহমদ বেরেলভী
নিহত হন কবে?
উত্তর: ১৮৩১ সালে, বালাকোটের
যুদ্ধে।
প্রশ্ন: কত সালে ওয়াহাবী
আন্দোলনের পরিসমাপ্তি ঘটে?
উত্তর: ১৮৯০ সালে।
ফরায়েজী আন্দোলন ও হাজী
শরীয়তউল্লাহ
প্রশ্ন: ফরায়েজী আন্দোলন
অর্থ কি?
উত্তর: ফরজ পালনের জন্য
আন্দোলন।
প্রশ্ন: ফরায়েজী আন্দোলনের
প্রতিষ্ঠাতা বা উদ্যোক্তা কে?
উত্তর: হাজী শরীয়তউল্লাহ।
প্রশ্ন: হাজী শরীয়তউল্লাহর
মতে কবর পূজা, পীরপূজা, সেজদা করা কি?
উত্তর: শেরক পাপ।
প্রশ্ন: দারুল হারব-এর
অর্থ কি?
উত্তর: যুদ্ধরত দেশ।
প্রশ্ন: হাজী শরীয়তউল্লাহর
বাড়ি বর্তমান কোন্ জেলায় অবস্থিত?
উত্তর: শরীয়তপুর।
প্রশ্ন: ছেলেবেলায় হাজী
শরীয়তউল্লাহ বাড়ি থেকে পালিয়ে কোথায় যান?
উত্তর: কলকাতায়।
প্রশ্ন: ফুরফুরা জায়গাটি
কোন্ জেলায় অবস্থিত?
উত্তর: হুগলি।
প্রশ্ন: হাজী শরীয়তউল্লাহ
কত সালে দেশে ফিরে ফরায়েজী আন্দোলন শুরু করেন?
উত্তর: ১৮১৮ সালে।
প্রশ্ন: হাজী শরীয়তউল্লাহর
ধর্মীয় আন্দোলনের নাম ‘ফরায়েজী’ হলো কেন?
উত্তর: হাজী শরীয়তউল্লাহ
‘ফরজ’ নির্দেশগুলো পালনের ওপর অত্যাধিক গুরুত্ব দেন বলে ফরজ পালনকারী অর্থে ‘ফরায়েজী’
হয়েছে।
প্রশ্ন: বাংলার কোন্ মুসলমান
পলাশীর পরাধীনতার পর প্রথম বাংলার মুসলমানদের চরম অবনতির কথা উপলব্ধি করেন?
উত্তর: হাজী শরীয়তউল্লাহ।
প্রশ্ন: হাজী শরীয়তউল্লাহ
কবে, কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর: ১৭৮১ সালে; বর্তমান
মাদারীপুর জেলাধীন শিবচর থানার শামাইল গ্রামে। (মৃত্যু ১৮৪০)
প্রশ্ন: হাজী শরীয়তউল্লাহর
নামে কোন্ জেলার নামকরণ করা হয়েছে?
উত্তর: শরীয়তপুর।
প্রশ্ন: ফরায়েজী আন্দোলনের
প্রধান কেন্দ্র ছিল কোন্ জেলা?
উত্তর: ফরিদপুর জেলা।
প্রশ্ন: মক্কা যাওয়ার
পথে দুদু মিয়া বাংলার কোন্ সংগ্রামী নেতার সাথে সাক্ষাৎ করেছিলেন?
উত্তর: তিতুমীর।
প্রশ্ন: কোন্ মাওলানা
ফরায়েজী মতবাদকে ‘খারিজি’ ঘোষণা করেন?
উত্তর: মাওলানা কেরামত
আলী জৌনপুরী।
প্রশ্ন: দার-উল-হরব কথাটির
অর্থ কি?
উত্তর: বিধর্মীয় রাজ্যে/যে
রাজ্য ইসলামী অনুশাসন দ্বারা পরিচালিত হয় না।
প্রশ্ন: দার-উল-হরবে জুমআর
নামাজ ও ঈদের নামাজ না পড়ার পরামর্শ দেন কে?
উত্তর: হাজী শরীয়তউল্লাহ।
দুদু মিয়া
প্রশ্ন: হাজী শরীয়তউল্লাহর
মৃত্যুর পর কে ফরায়েজী আন্দোলনের নেতৃত্ব গ্রহণ করেন?
উত্তর: দুদু মিয়া।
প্রশ্ন: দুদু মিয়ার আসল
নাম কি?
উত্তর: পীর মুহসীনউদ্দীন
আহমদ।
প্রশ্ন: দুদু মিয়া কে
ছিলেন?
উত্তর: ফরায়েজী নেতা।
প্রশ্ন: দুদু মিয়া জন্মগ্রহণ
করেন কত সালে?
উত্তর: ১৮১৯ সালে।
প্রশ্ন: দুদু মিয়ার নেতৃত্বে
ফরায়েজী আন্দোলন কি রূপ নেয়?
উত্তর: সশস্ত্র সংগ্রামে।
প্রশ্ন: দুদু মিয়া আন্দোলনকে
শক্তিশালী করার জন্য কি গড়ে তোলেন?
উত্তর: সংগঠন।
প্রশ্ন: দুদু মিয়া বাংলার
বিভিন্ন অঞ্চলে কি নিযুক্ত করেন?
উত্তর: খলিফা।
প্রশ্ন: দুদু মিয়ার সংগঠনের
অন্যতম বৈশিষ্ট্য কি ছিল?
উত্তর: ন্যায়ভিত্তিক এবং
অত্যাচারী জমিদারদের বিরুদ্ধেরুখে দাঁড়ানো এবং বিচারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা।
প্রশ্ন: দুদু মিয়া কবে
ইন্তেকাল করেন?
উত্তর: ২৪ সেপ্টেম্বর
১৮৬২।
প্রশ্ন: দুদু মিয়াকে কোথায়
সমাহিত করা হয়?
উত্তর: ঢাকার বংশালে।
তিতুমীরের আন্দোলন
প্রশ্ন: কোন্ বাঙালি প্রথম
ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বিরুদ্ধে অস্ত্র ধারণ করে শহিদ হয়েছিলেন?
উত্তর: শহিদ তিতুমীর।
প্রশ্ন: তিতুমীরের প্রকৃত
নাম কি?
উত্তর: মীর নিসার আলী।
প্রশ্ন: তিতুমীরের জন্মস্থান
কোথায়?
উত্তর: চব্বিশ পরগণা জেলার
বারাসাত মহকুমার চাঁদপুর গ্রামে (মতান্তরে হায়দারপুরে)।
প্রশ্ন: কার নেতৃত্বে
বাঁশের কেল্লা ধ্বংস হয়?
উত্তর: লেফটেন্যান্ট কর্নেল
স্টুয়ার্ট।
প্রশ্ন: শহিদ তিতুমীর
কত সালে জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর: ১৭৮২ সালে (মৃত্যু
১৯ নভেম্বর ১৮৩১)।
প্রশ্ন: তিতুমীর মক্কায়
অবস্থানকালে কার শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন?
উত্তর: সৈয়দ আহমদ শহীদের।
প্রশ্ন: তিতুমীর মক্কা
থেকে কত সালে ফিরে এসে সমাজ সংস্কারে আত্মনিয়োগ করেন?
উত্তর: ১৮২৭ (মক্কা যান
১৮২২ সালে)।
প্রশ্ন: তিতুমীর কত সালে
বাঁশের কেল্লা নির্মাণ করেন?
উত্তর: ১৮৩১ সালের অক্টোবরে।
প্রশ্ন: বাঁশের কেল্লা
খ্যাত স্বাধীনতা সংগ্রামী কে?
উত্তর: তিতুমীর।
প্রশ্ন: তিতুমীর কোথায়
বাঁশের কেল্লা নির্মাণ করেন?
উত্তর: নারিকেলবাড়িয়ায়।
প্রশ্ন: কোন্ সালের কত
তারিখে ইংরেজ সৈন্যরা নারিকেলবাড়িয়া কেল্লা আক্রমণ করেন?
উত্তর: ১৯ নভেম্বর ১৮৩১।
প্রশ্ন: তিতুমীর কবে,
কিভাবে মৃত্যুবরণ করেন?
উত্তর: ১৯ নভেম্বর ১৮৩১,
লেফটেন্যান্ট কর্নেল স্টুয়ার্টের সঙ্গে যুদ্ধকালে।
রাজা রামমোহন রায় ও সংস্কার
প্রশ্ন: রামমোহন রায়ের
জন্ম কোথায়?
উত্তর: হুগলী জেলায়।
প্রশ্ন: ভারতে প্রথম আধুনিক
পুরুষ খ্যাতি অর্জন করেন কে?
উত্তর: রাজা রামমোহন রায়।
প্রশ্ন: ঊনিশ শতকে বাংলার
নবজাগরণের অগ্রদূত কে ছিলেন?
উত্তর: রাজা রামমোহন রায়।
প্রশ্ন: রামমোহন রায় কোন্
ভাষার সুপণ্ডিত ছিলেন?
উত্তর: আরবি-ফার্সি ভাষার।
প্রশ্ন: ‘তুফাত-উল-মোয়াহিদ্দীন’
নামের আরবি ও ফার্সি ভাষার একটি বই রচনা করেন কে?
উত্তর: রাজা রামমোহন রায়।
প্রশ্ন: রামমোহন রায় ডিগবী
সাহেবের অধীনে কোথায় চাকরি করেন?
উত্তর: রংপুরে।
প্রশ্ন: একেশ্বরবাদের
বাণী প্রচারে রামমোহন রায় কোন্ সমিতি গঠন করেন?
উত্তর: আত্মীয় সভা।
প্রশ্ন: কত সালে ‘আত্মীয়
সভা’ নামে সমিতি গঠন করা হয়?
উত্তর: ১৮১৫ সালে।
প্রশ্ন: রামমোহন রায় কত
‘অ্যাংলো হিন্দু স্কুল’ প্রতিষ্ঠা করেন?
উত্তর: ১৮২২ সালে।
প্রশ্ন: রামমোহন রায়কে
‘রাজা’ উপাধি দিয়েছিলেন কে?
উত্তর: সম্রাট দ্বিতীয়
আকবর।
প্রশ্ন: রামমোহন রায় কোথায়
মৃত্যুবরণ করেন?
উত্তর: ইংল্যান্ডের বিস্টল
শহরে।
প্রশ্ন: আধুনিক ভারতের
জনক বলা হয় কাকে?
উত্তর: রাজা রামমোহন রায়কে।
প্রশ্ন: হিন্দুধর্মের
পৌত্তলিকতা ও কুসংস্কারের নিন্দা করে একেশ্বরবাদ সম্পর্কে রামমোহন রায়ের প্রথম রচনার
নাম কি?
উত্তর: তুফাত-উল-মুয়াহিদ্দীন
(১৮০৩)।
প্রশ্ন: রাজা রামমোহন
রায় কোন পুস্তিকায় খ্রিস্টধর্ম সম্পর্কে তার মতামত প্রকাশ করেন?
উত্তর: The Precepsts
of Jesus (1820)
প্রশ্ন: বেদান্তবাদ শিক্ষা
দানের জন্য রামমোহন রায় কোন্ কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন?
উত্তর: বেদান্ত কলেজ
(১৮২৫)।
প্রশ্ন: একেশ্বরবাদ প্রচার
করার জন্য ইউনিটেরিয়া কমিটি (১৮২১ খ্রি.) নাম ধর্মসভা গঠন করেন কে?
উত্তর: রাজা রামমোহন রায়।
প্রশ্ন: ব্রাহ্মসমাজ প্রতিষ্ঠিত
হয় কখন?
উত্তর: ২ আগস্ট ১৮২৮।
প্রশ্ন: জোড়াসাঁকোর ঠাকুর
পরিবারের কে রামমোহন রায়ের ঘনিষ্ঠ সহচর ছিলেন?
উত্তর: প্রিন্স দ্বারকানাথ
ঠাকুর।
প্রশ্ন: দ্বারকানাথ ঠাকুর
১৮২৯ সালে রামমোহনের সহায়তায় কোন্ পত্রিকা প্রকাশ করেন?
উত্তর: বেঙ্গল হেরাল্ড
ও বঙ্গদূত পত্রিকা।
প্রশ্ন: কোন্ সমাজসংস্কারক
বাল্যবিবাহ, বহুবিবাহ, কৌলিন্য প্রথা, গঙ্গা সাগরে সন্তান বিসর্জন, শিশুকন্যা হত্যা
প্রভৃতি কুপ্রথার বিরুদ্ধে চরম আন্দোলন গড়ে তোলেন?
উত্তর: রাজা রামমোহন রায়।
প্রশ্ন: কোন্ ব্রিটিশ
শাসক গঙ্গা সাগরে সন্তান বিসর্জন ও শিশুকন্যা হত্যা নিষিদ্ধ করেন?
উত্তর: উইলিয়াম বেন্টিঙ্ক।
প্রশ্ন: ইংরেজি-বাংলা
দ্বিভাষিক ব্রাহ্মনিক্যাল ম্যাগাজিনটির নাম কি ছিল?
উত্তর: ব্রাহ্মণ সেবখি।
প্রশ্ন: কাকে ভারতীয় রেনেসাঁস
বা না জাগরণের অগ্রদূত বলা হয়?
উত্তর: রাজা রামমোহন রায়কে।
প্রশ্ন: বাংলা ভাষায় বেদান্তের
ভাষ্য রচনা এবং ‘ঈশ’ ‘কেন’ ‘কঠ’ প্রভৃতি উপনিষদ প্রকাশ করেন কে?
উত্তর: রাজা রামমোহন রায়।
প্রশ্ন: ‘ব্রাহ্ম-সমাহ’
নামের পরিবর্তে ‘ব্রাহ্ম ধর্ম’ নাম গ্রহণ করা হয় কবে?
উত্তর: ১৮৪৩ সালে।
প্রশ্ন: ব্রাহ্ম সমাজ
মোট কয়টি ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছিল?
উত্তর: তিনটি। যথা- আদি
সমাজ, নব-বিধান, সাধারণ ব্রাহ্ম সমাজ।
প্রশ্ন: আদি ব্রাহ্ম সমাজের
প্রধান ছিলেন কে?
উত্তর: দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর।
No comments:
Post a Comment