Friday, October 5, 2018

ছিটমহল

Chitmohol


প্রশ্ন: ছিটমহল কি?
উত্তর: একটি স্বাধীন দেশের অভ্যন্তরে পাশ্ববর্তী বা সীমান্তবর্তী অন্য কোনো স্বাধীন দেশের বিচ্ছিন্নভাবে থেকে যাওয়া ভূখণ্ড।

প্রশ্ন: স্ট্রিপম্যাপ কি?
উত্তর: কোনো সীমান্ত এলাকার অর্ধ মাইল এলাকাজুড়ে তৈরি করা বিশদ তথ্যসংবলিত মানচিত্রকে ‘স্ট্রিপম্যাপ’ (সূক্ষ্ণ রেখাভিত্তিক মানচিত্র) বলা হয়। এ মানচিত্রের স্কেল ১৬ ইঞ্চিতে এক মাইল।

প্রশ্ন: বাংলাদেশ-ভারত স্থলসীমান্ত চুক্তি কবে, কোথায় স্বাক্ষরিত হয়?
উত্তর: ১৬ মে ১৯৭৪; নয়াদিল্লি, ভারত।

প্রশ্ন: বাংলাদেশ-ভারত স্থলসীমান্ত চুক্তিতে কে, কে স্বাক্ষর করেন?
উত্তর: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ভারতের ইন্দিরা গান্ধী।

প্রশ্ন: বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে স্থলসীমান্ত চুক্তি পাস হয় কবে?
উত্তর: ২৩ নভেম্বর ১৯৭৪।

প্রশ্ন: বাংলাদেশ সংবিধানের কততম সংশোধনীর মাধ্যমে স্থলসীমান্ত চুক্তি পাস হয়?
উত্তর: ৩য় সংশোধনী।

প্রশ্ন: ভারতীয় আইনসভার স্থলসীমান্ত চুক্তি পাস হয় কবে?
উত্তর: রাজ্যসভায় ৬মে ২০১৫ ও লোকসভায় ৭ মে ২০১৫।

প্রশ্ন: ভারতীয় সংবিধানের কততম সংশোধনীর মাধ্যমে স্থলসীমান্ত চুক্তি পাস হয়?
উত্তর: ১০০তম সংশোধনী।

প্রশ্ন: বাংলাদেশ-ভারত স্থলসীমান্ত চুক্তি কার্যকর হয় কবে?
উত্তর: ৬ জুন ২০১৫।

প্রশ্ন: বাংলাদেশ-ভারত ছিটমহল বিনিময় বা বিলুপ্ত হয় কবে?
উত্তর: ১ আগস্ট ২০১৫ (৩১ জুলাই ২০১৫ মধ্য রাতে)।

প্রশ্ন: বাংলাদেশ-ভারত স্থলসীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নে ছিটমহল ইস্যূতে বাংলাদেশ কতটি ছিটমহল লাভ করে এবং প্রাপ্ত ভূমির পরিমাণ কত?
উত্তর: ১১১টি ছিটমহল যার আয়তন ১৭,১৬০.৬৩ একর বা ৬৯.৪৪৭ বর্গকিমি বা ২৬.৮১৩ বর্গমাইল।

প্রশ্ন: বাংলাদেশ-ভারত স্থলসীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নে ছিটমহল ইস্যূতে ভারত কতটি ছিটমহল লাভ করে এবং প্রাপ্ত ভূমির পরিমাণ কত?
উত্তর: ৫১টি ছিটমহল যার আয়তন ৭,১১০.০২ একর বা ২৮.৭৭৩ বর্গকিমি বা ১১.১০৯ বর্গমাইল।

প্রশ্ন: বাংলাদেশ-ভারত স্থলসীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নে অপদখলীয় জমি ইস্যুতে বাংলাদেশ কি পরিমাণ জমি লাভ করে?
উত্তর: ২,২৬৭.৬৮২ একর বা ৯.১৮ বর্গকিমি বা ৩.৫৪ বর্গমাইল।

প্রশ্ন: প্রশ্ন: বাংলাদেশ-ভারত স্থলসীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নে অপদখলীয় জমি ইস্যুতে ভারত কি পরিমাণ জমি লাভ করে?
উত্তর: ২,৭৭৭.০৩৮ একর বা ১১.২৪ বর্গকিমি বা ৪.৩৪ বর্গমাইল।


দহগ্রাম-আঙ্গরপোতা

প্রশ্ন: বাংলাদেশের ভূখণ্ড দহগ্রাম-আঙ্গরপোতার অবস্থান কোথায়?
উত্তর: কুচবিহার, ভারত।

প্রশ্ন: তিনবিঘা করিডোর কি?
উত্তর: দহগ্রাম-আঙ্গরপোতার সাথে বাংলাদেশের মূল ভূখণ্ডে যোগাযোগের জন্য ১৭৮ মিটার × ৮৫ মিটার পরিমাপের একটি প্যাসেজ ডোর রয়েছে, যা তিনবিঘা করিডোর নামে পরিচিত।

প্রশ্ন: বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত চুক্তি অনুযায়ী বেরুবাড়ীর বদলে ভারত থেকে কোন্ স্থানটি বাংলাদেশ লাভ করে?
উত্তর: তিন বিঘা করিডোর (মাপ ১৭৮ মিটার × ৮৫ মিটার)।

প্রশ্ন: দহগ্রাম ও আঙ্গরপোতা বাংলাদেশের কোন্ উপজেলার অন্তর্গত?
উত্তর: পাটগ্রাম (লালমনিরহাট)।

প্রশ্ন: দহগ্রাম ইউনিয়নের উদ্বোধন করা হয় হবে?
উত্তর: ১৯ আগস্ট ১৯৮৯ (আয়তন ৩৫ বর্গমাইল)।

প্রশ্ন: ভারত কবে বাংলাদেশের জন্য তিন বিঘা করিডোর খুলে দেয়?
উত্তর: ২৬ জুন ১৯৯২ [ তবে ২৪ ঘণ্টার জন্য খুলে দেয়া হয় ৬ সেপ্টেম্বর ২০১১]।

প্রশ্ন: তিনবিঘা করিডোর কোন্ নদীর তীরে অবস্থিত?
উত্তর: তিস্তা নদী।

No comments:

Post a Comment