বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় পানীয়ের মধ্যে 'কফি' অন্যতম। আড্ডা দেওয়ার সময়, ক্লান্তিবোধ থেকে মুক্তি পেতে কিংবা কাজের ফাঁকে ঘুম তাড়াতে চা বা কফি-র জুড়ি নেই। অনেকেই আছেন, যাদের দিনই শুরু হয় বেড টি বা কফি দিয়ে। কফিতে উপস্থিত ক্যাফেইন উপাদান মানুষের উপর উত্তেজক প্রভাব ফেলে ও উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে।
গবেষণায় দেখা গেছে, কফি লিভারের কার্যকারিতা বাড়ায়। সেই সঙ্গে ক্যান্সার প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে। এটি মানসিক ভাবে সুস্থ থাকতেও সাহায্য করে। কফিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকায় এটি স্বাস্থ্যের জন্য দারুণ উপকারী।
গবেষকদের মতে, প্রতিদিন তিন থেকে চার কাপ কফি পান করলে নানা ধরনের উপকার পাওয়া যায়। যেমন-
১. হৃদরোগ, স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে
২. ফ্যাটি লিভার কিংবা লিভার সেরোসিসের আশঙ্কা কমে যায়
৩. ক্যান্সার প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে
৪. ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে
৫. কফি পান করলে সতেজ অনুভূতি হয়। কফি শরীরে উদ্যম ও উৎসাহ তৈরি করে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উপকারিতার সঙ্গে সঙ্গে অতিরিক্ত কফি পানে কিছু ঝুঁকিও আছে। যারা খুব বেশি কফি পান করেন তাদের ক্ষেত্রে কফি নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
এছাড়া খালি পেটে কফি শরীরের পক্ষে মারাত্মক। বিশেষ করে ব্ল্যাক কফি ক্ষতির পরিমাণ কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়। যেমন-
১. খালি পেটে কফি খেলে বমি হতে পারে
২. কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ে
৩. মাথাব্যাথা হয়
৪. ঘুম ব্যাহত হয়
৫. বেশি কফি খেলে গর্ভধারণের ক্ষমতা কমে যেতে পারে
৬. অনিয়মিত হৃৎস্পন্দন বা উচ্চ রক্তচাপের আশঙ্কা বাড়ে
৭. হরমোন ক্ষরণে ব্যাঘাত ঘটে ।
সূত্র: বোল্ড স্কাই
No comments:
Post a Comment